শাহবাগের গণজমায়েত যখন ফুঁসছে তখন বেলুন উড়িয়ে দেয়ার মতো একান্তই নিরীহ কর্মসূচি নেয়ার যৌক্তিকতা কী, সেটি নিয়ে অনেক জিজ্ঞাস্য তৈরি হয়েছে। এখানে স্পষ্ট করে বলে নেয়া উচিত যে এই আন্দোলনের মূল শক্তিই হচ্ছে এর অহিংস অবস্থান। কাদের মোল্লার রায় ঘোষণার পরেই যাঁরা ৫ তারিখ বিকেল বেলা শাহবাগ চত্ত্বর দখল করে বসে পড়েছিলেন, তাঁরা ক্ষোভে ফুসছিলেন, বেদনায় নীল হচ্ছিলেন, দ্রোহে ফেটে পড়েছিলেন। সেই দ্রোহ, ক্ষোভ ও বেদনায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে তাঁরা যদি শাহবাগে গাড়ি ভাংচুর শুরু করতেন, তাহলে কয়েকজন তরুণ হয়তো তাঁদের ক্ষোভ প্রশমনের সাময়িক তৃপ্তি পেতেন, কিন্তু এই যে বড় গণজাগরন, এই যে গণরায়, সেটি অর্জন করা সম্ভব হতো না। ৫ তারিখ বিকেলে নেমে ৫টি গাড়ি ভাংচুর করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার মাধ্যমেই এর বিনাশ ঘটত।
কিন্তু শান্তিপূর্ণ অবস্থানের মাধ্যমে শাহবাগের তারুণ্য তাঁদের ক্ষোভ ও বেদনার সঙ্গে গোটা দেশকে বেঁধে ফেলতে পেরেছে, এটাই হচ্ছে এই তারুণ্যের বড় অর্জন। এই বেঁধে ফেলার কাজটিই প্রতিদিন প্রতিমুহুর্তে শাহবাগ থেকে করা হচ্ছে।
একথা সত্যি যে মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে খুব দ্রুত কিছু সহিংস কর্মসূচি দিয়ে যুদ্ধাপরাধী ও তাঁদের দোসরদেরকে কোনঠাসা করে ফেলা সম্ভব। কিন্তু একথাও মনে রাখতে হবে যে যুদ্ধাপরাধী ও তাঁদের দোসরদের সঙ্গে লাঠি হাতে মারামারি করা সাধারণ জনগনের কাজ নয়। এই দায়িত্ব সরকারের।
জনসাধারণের দায়িত্ব সরকারকে তাঁর কাজ করতে সহায়তা করা, কাজ থেকে বিচ্যুত হলে সরকারকে সঠিক কাজে বাধ্য করা, কিন্তু কোনো অবস্থাতেই সরকারের কাজ নিজের হাতে তুলে নেয়া নয়। আইন শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের, আমরা জনগন সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে সরকারকে তাঁর দায়িত্ব থেকে মুক্তি দিতে পারি না। রাস্তায় জামায়াত শিবিরের সহিংসতা মোকাবেলায় সরকারকেই তার বিচার ব্যবস্থা, তার আইনশৃংখলা বাহিনী এবং তার বাদবাকি সকল শক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যে, শাহবাগের তরুণ প্রজন্ম কিন্তু দেশে অস্থিরতা ছড়াতে কাজ করছে না বরং অস্থিরতা দূর করতে সংগ্রাম করছে। গণজাগরন মঞ্চ সহিংস কর্মসূচির মাধ্যমে যদি মাঠে নেমে পড়ে তাহলে দেশজুড়ে যে অরাজকতা সৃষ্ঠি হবে, সেই অরাজকতার সুযোগে অনেক শক্তিই তাঁদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে পারে। গোটা দেশ এখন ঐক্যবদ্ধ এবং সাহসী, এই মুহুর্তে কোনো হঠকারিতার সুযোগ নেই।
(সংগৃহীত)
কিন্তু শান্তিপূর্ণ অবস্থানের মাধ্যমে শাহবাগের তারুণ্য তাঁদের ক্ষোভ ও বেদনার সঙ্গে গোটা দেশকে বেঁধে ফেলতে পেরেছে, এটাই হচ্ছে এই তারুণ্যের বড় অর্জন। এই বেঁধে ফেলার কাজটিই প্রতিদিন প্রতিমুহুর্তে শাহবাগ থেকে করা হচ্ছে।
একথা সত্যি যে মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে খুব দ্রুত কিছু সহিংস কর্মসূচি দিয়ে যুদ্ধাপরাধী ও তাঁদের দোসরদেরকে কোনঠাসা করে ফেলা সম্ভব। কিন্তু একথাও মনে রাখতে হবে যে যুদ্ধাপরাধী ও তাঁদের দোসরদের সঙ্গে লাঠি হাতে মারামারি করা সাধারণ জনগনের কাজ নয়। এই দায়িত্ব সরকারের।
জনসাধারণের দায়িত্ব সরকারকে তাঁর কাজ করতে সহায়তা করা, কাজ থেকে বিচ্যুত হলে সরকারকে সঠিক কাজে বাধ্য করা, কিন্তু কোনো অবস্থাতেই সরকারের কাজ নিজের হাতে তুলে নেয়া নয়। আইন শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের, আমরা জনগন সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে সরকারকে তাঁর দায়িত্ব থেকে মুক্তি দিতে পারি না। রাস্তায় জামায়াত শিবিরের সহিংসতা মোকাবেলায় সরকারকেই তার বিচার ব্যবস্থা, তার আইনশৃংখলা বাহিনী এবং তার বাদবাকি সকল শক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যে, শাহবাগের তরুণ প্রজন্ম কিন্তু দেশে অস্থিরতা ছড়াতে কাজ করছে না বরং অস্থিরতা দূর করতে সংগ্রাম করছে। গণজাগরন মঞ্চ সহিংস কর্মসূচির মাধ্যমে যদি মাঠে নেমে পড়ে তাহলে দেশজুড়ে যে অরাজকতা সৃষ্ঠি হবে, সেই অরাজকতার সুযোগে অনেক শক্তিই তাঁদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে পারে। গোটা দেশ এখন ঐক্যবদ্ধ এবং সাহসী, এই মুহুর্তে কোনো হঠকারিতার সুযোগ নেই।
(সংগৃহীত)
No comments:
Post a Comment