১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা বাংলাদেশ এর ৩০ লক্ষ মানুষকে মেরেছিলো। এখন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বদলেছে। আপনি এখন যদি কোন বাংলাদেশী মানুষকে প্রশ্ন করেন আপনি পাকিস্তান কে দেখতে পারেন? তখন সেই মানুষটির উত্তর আসবে "না" কিন্তু যখন তাকে প্রশ্ন করবেন, আপনি ভারত বা পাকিস্তান কাকে সাপোর্ট করেন? তখন হয়তো বলবে, পাকিস্তানকে। কেন বলবে?
আসুন বুঝিয়ে দি....
- ৭১ এ যুদ্ধ শেষে ২৭০০ কোটি টাকার অস্ত্র-সরঞ্জাম লুট করেছিলো ভারতীয় সেনাবাহিনী? ( অমৃতবাজার দৈনিক-১২ মে ১৯৭৪)
- ৭৪ সালের চুক্তি সত্বেও ভারত তিন বিঘা করিডোর হস্তান্তর করেনি বাংলাদেশকে !
- ৭৫ থেকে বাংলাদেশকে পানির নায্য হিস্যা দেয়নি। পদ্মা শুকিয়ে আজ বাথরুমের টাংকি ! বর্ষার পানি ছেড়ে দিয়ে সমুদ্র বানিয়ে দেয়। বছরে ২০০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন বন্ধ ! স্বার্থ অনুযায়ী খড়া মৌসুমে তারা বাধ দিয়ে পানি আটকে রাখে, আর ভরা মৌসুমে বাধ ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ভাসিয়ে দেয়!
- প্রতিবাদের পরেও টিপাইমুখে বাধ দিচ্ছে তারা! সিলেটের ১৬ জেলা মরুভূমি হয়ে যাবে !
- হিন্দি চ্যানেল প্রচার করতে ৩০০০-৪৫০০ কোটি টাকা ভারতকে দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশী চ্যানেল ভারতে নট অ্যালাউড!
- গত ৪৪ বছরে ৬১হাজার বাঙ্গালীকে সীমান্তে হত্যা করেছে ! (অনলাইন তথ্য)
- আমাদের বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন! সেই সুন্দরবনকে ধ্বংসের জন্য তারা উঠেপড়ে লেগেছে! কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রথমে সুন্দরবনের ইন্ডিয়া অংশে হওয়ার কথা ছিলো। সে দেশের পরিবেশবাদীরা প্রতিবাদ করলে কয়েক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশী সরকারের সহায়তায় এ দেশেই করার সিদ্ধান্ত হয়।
- যুদ্ধ করেছে হাজার হাজার বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু আজও ভারতীয়রা বলে আসছে তারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছে এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে।
- ভারত ৪২ বছর ধরে স্বাধীনতায় সহযোগিতার নামে বাংলাদেশ শোষণ করছে ! ইন্ডিয়ার ২য় সর্বোচ্চ বৈদেশিক রেমিটেন্স আসে বাংলাদেশ থেক।
- ফেলানিকে মনে হয় ভুলে গেছেন আপনারা?? নির্মমতা হেরে গেছে সেখানে।
- বাংলাদেশ মিয়ানমার এর মধ্যে রোহিঙ্গা টপিক নিয়ে ভারত সরাসরি মিয়ানমার কে সাপোর্ট করেছিলো। এখনতো সে দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের বে করে বাংলাদেশে আসতে ফোর্স করছে।
(সংগৃহীত)
আমার মনে হয় টাউট লোকজনের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, অথবা মস্তিষ্ক বিহীনদের সংখ্যা বাড়ছে। যাহারা, এক স্টেপের উপরে কিছু ভাবতে পারে না বা চায়-ও না। দাবা খেলায় ক্যাসপারাভ ২৫-৩০ টা চাল পর পর্যন্ত চিন্তা করে। আর আমরা যত দ্রুত একটা ডিসিশনে আসতে পারবো সেই আহাম্মকীয় চেষ্টা। আমার মনে হয় স্কুলে অন্যান্য বিষয় শিখানোর সাথে সাথে ‘লজিক এন্ড ডিসক্রিট ম্যাথমেটিক্স’ শেখানো উচিত। একটা উদাহরণ দেই,
বৃষ্টি হলে আমরা খেলবো না।
এই লাইনটা থেকে আমরা কি বুঝলাম আর কি ডিসিশনে আসতে পারি? আমার ধারনা, প্রচুর পরিমান মানুষ ডাইরেক্ট ডিসিশনে চলে যাবে যে, আজকে বৃষ্টি না হলেই খেলা হবে। যেমন কিছু আহাম্মক যখন ডিসিশন নিয়ে ফেলে যে, কেউ ইন্ডিয়ার সাপোর্ট করে না মানেই হলো তারা পাক প্রেমি। তাদের জন্য একটা হা হা হা। আরে গর্ধব, তোদের ধরে ধরে জেলে নিয়ে যাওয়া উচিত আর সেখানে জোর পূর্বক ‘লজিক এন্ড ডিসক্রিট ম্যাথমেটিক্স’ শেখানো উচিত। বৃষ্টি না হলেই যে খেলা হবে তোদের কে বলেছে সেটা? মাঠের ভিতর একটা উল্কা পিন্ড এসে পরতে পারে। একটা টীমের বাস খাদে পরে খেলোয়াররা আহত হতে পারে, আরও কত আনলিমিটেড ভেরিয়েবলস থাকতে পারে। কিন্ত, তা না, নিজেকে একটা ছাগল প্রমান করার জন্য উঠে পরে লাগতে হবে।
এখন আসি বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কেন ইন্ডিয়ার সাপোর্ট করে না। এর পেছনে একদিনের কোন ঘটে যাওয়া কারন না। পাকিস্তান কে আমাদের ঘৃণা করার কারণ গুলা একটা একটা করে ভাবুন, পেয়ে যাবেন, ইন্ডিয়াকে ঘৃণা করার কারণ। ১৯৪৭ সালেই নিশ্চই তৎকালীন বাংলাদেশীরা পাকিস্তান কে ঘৃণা করতো না, পর্যায়ক্রমে ওদের কার্যকলাপে ঘৃণা আস্তে আস্তে জন্মেছে। একসময় সেই ঘৃণার বহি:প্রকাশ হয় ১৯৭১-এ। তখনও কিন্তু এই বাংলাদেশেরই কিছু সুবিধাবাদী লোক চোখে ঠুলি পরে বলেছিলো পাকিস্তান জিন্দাবাদ। যাদেরকে আমরা বলি রাজাকার। আজকে, এই ২০১৯-এ এসেও সেই ধরনেরই এক বিশেষ ধরণের মানুষ দেখা যায়, যারা ভারতের বাংলাদেশ শোষন দেখেও চোখে ঠুলি পরে আছে। এদের কি নামে ডাকবো?
কি শোষন?
আমি অতি সাধারণ এক বাংলাদেশী এবং সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে যা দেখি তা হলো:
লিখে তো আর শেষ করা যাবে না তবে শেষে একটা প্রশ্ন, যারা বিদেশে আছে তাদের ‘ক্যাইসে হো’ অভিজ্ঞতাটা কেমন? কত এরোগ্যান্ট আর সুপেয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগলে এমনটা করতে পারে?
আপনাদের কোন অভিজ্ঞতা থাকলে প্লিজ শেয়ার করুন সেই সব চোখে ঠুলি পরা লোক গুলার জন্য।
মনে কর, তুই জীবনে প্রথম কোন একটা ইন্ডিয়ানের সাথে দেখা হইলো, তোর চেহারা দেখেই বুঝে যায় যে তুই ইন্ডিয়ান। আর প্রথম যেই বাক্যটা মুখ থেকে বের হয়, সেটা হলো সুর দিয়ে, “ক্যাইসা হোওও”? আমার তখন মনে হয় কানের নিচে একটা লাগায় দিয়ে বলি, “হারামজাদা, তোরে দুইটা জুতার বারি”। কখনও যে বলি নাই তাও না। ওরা মনে করে আমাদের হিন্দি জানাটা ফরজ। আরেকটা ব্যাপার হয়, দেখলেই প্রশ্ন করে, “Are you from India?” মনে হয়, ইন্ডিয়া ছাড়া আর কোন দেশ পৃথিবীতে নাই। আমি এই প্রশ্ন শুনলেই এখন বলি, I am from ‘Kiribati’. তখন ওদের কনফিউজ্ড চেহারা দেখতে ভিষণ ভালো লাগে
আমার মনে হয় টাউট লোকজনের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, অথবা মস্তিষ্ক বিহীনদের সংখ্যা বাড়ছে। যাহারা, এক স্টেপের উপরে কিছু ভাবতে পারে না বা চায়-ও না। দাবা খেলায় ক্যাসপারাভ ২৫-৩০ টা চাল পর পর্যন্ত চিন্তা করে। আর আমরা যত দ্রুত একটা ডিসিশনে আসতে পারবো সেই আহাম্মকীয় চেষ্টা। আমার মনে হয় স্কুলে অন্যান্য বিষয় শিখানোর সাথে সাথে ‘লজিক এন্ড ডিসক্রিট ম্যাথমেটিক্স’ শেখানো উচিত। একটা উদাহরণ দেই,
বৃষ্টি হলে আমরা খেলবো না।
এই লাইনটা থেকে আমরা কি বুঝলাম আর কি ডিসিশনে আসতে পারি? আমার ধারনা, প্রচুর পরিমান মানুষ ডাইরেক্ট ডিসিশনে চলে যাবে যে, আজকে বৃষ্টি না হলেই খেলা হবে। যেমন কিছু আহাম্মক যখন ডিসিশন নিয়ে ফেলে যে, কেউ ইন্ডিয়ার সাপোর্ট করে না মানেই হলো তারা পাক প্রেমি। তাদের জন্য একটা হা হা হা। আরে গর্ধব, তোদের ধরে ধরে জেলে নিয়ে যাওয়া উচিত আর সেখানে জোর পূর্বক ‘লজিক এন্ড ডিসক্রিট ম্যাথমেটিক্স’ শেখানো উচিত। বৃষ্টি না হলেই যে খেলা হবে তোদের কে বলেছে সেটা? মাঠের ভিতর একটা উল্কা পিন্ড এসে পরতে পারে। একটা টীমের বাস খাদে পরে খেলোয়াররা আহত হতে পারে, আরও কত আনলিমিটেড ভেরিয়েবলস থাকতে পারে। কিন্ত, তা না, নিজেকে একটা ছাগল প্রমান করার জন্য উঠে পরে লাগতে হবে।
এখন আসি বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কেন ইন্ডিয়ার সাপোর্ট করে না। এর পেছনে একদিনের কোন ঘটে যাওয়া কারন না। পাকিস্তান কে আমাদের ঘৃণা করার কারণ গুলা একটা একটা করে ভাবুন, পেয়ে যাবেন, ইন্ডিয়াকে ঘৃণা করার কারণ। ১৯৪৭ সালেই নিশ্চই তৎকালীন বাংলাদেশীরা পাকিস্তান কে ঘৃণা করতো না, পর্যায়ক্রমে ওদের কার্যকলাপে ঘৃণা আস্তে আস্তে জন্মেছে। একসময় সেই ঘৃণার বহি:প্রকাশ হয় ১৯৭১-এ। তখনও কিন্তু এই বাংলাদেশেরই কিছু সুবিধাবাদী লোক চোখে ঠুলি পরে বলেছিলো পাকিস্তান জিন্দাবাদ। যাদেরকে আমরা বলি রাজাকার। আজকে, এই ২০১৯-এ এসেও সেই ধরনেরই এক বিশেষ ধরণের মানুষ দেখা যায়, যারা ভারতের বাংলাদেশ শোষন দেখেও চোখে ঠুলি পরে আছে। এদের কি নামে ডাকবো?
কি শোষন?
আমি অতি সাধারণ এক বাংলাদেশী এবং সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে যা দেখি তা হলো:
- ভারত আমাদের দেশে তাদের পন্য, টিভি চ্যানেল এক্সপোর্ট করে সয়লাব করে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে আর আমরা যখন কিছু ভারতে এক্সপোর্ট করতে চাই তখন শুরু হয় সব নাটক। উচ্চ কর, বাংলাদেশী টিভি চ্যানেল ব্যান ইত্যাদি। মিল পাচ্ছেন? পাকি আমলের সাথে? আরও আছে,
- একজন মানুষ হয়ে অন্য একটা মানুষকে হত্যা এবং ধর্ষণ করা গরুর মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে। আর কিছু বলার নাই। নিজেদের মায়ের জীবন বাঁচাতে প্রত্যেকটা গরুখোরকে মারবে আর কোরবানীর সময় ওদের মা দের বাংলাদেশে এনে বেইচা দিবে। [আমি কথাটা অনেক ভদ্র ভাবে বলার চেষ্টা করেও এরকমই শোনাচ্ছে] শুবিধাবীদী ****** ****** দেশ। [পছন্দ অনুযায়ী গালি বসায় নিয়েন]
- প্রতি বছর কত শত বাংলাদেশীদের বিনা বিচারে বর্ডারে মারা হচ্ছে, সেটা তো আমার চোখে লাগে, আমার গায়ে লাগে।
- বর্ডারটা হচ্ছে অনেকটা হাফ ডুপ্লেক্স সিস্টেমের মত ওয়ান ওয়ে। ভারতের যখন যেমন মন চায় ঢুকবে, অস্ত্র ঢুকবে, ড্রাগ ঢুকবে, বড় বড় কম্পানির সিইও রা ঢুকবে, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কিছু ঢুকতে পারবে না।
- পানি চুক্তি। আহারে, কি আর বলবো? যেটুকু পাইতেছি সেটুকু যে বন্ধ করে দিচ্ছে না, একারনেই মনে হয় ভারতের পা চাটা উচিত, তাইনা? ভয়, কবে আবার বন্ধ করে দেয়!!
- সমুদ্রটাও দখল নিতে চেয়েছিলো, তাও ভালো পারে নাই
- ১৯৭১ থেকে যারা ভারতে গিয়ে ভারতের নাগরিক, তাদের নাকি আবার বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে, অথবা বাংলাদেশের একটা অংশ দিয়ে দিতে হবে। চলেন, আমরা আবারো কিছুক্ষন হাসি। হা হা হা।
- বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের জন্য সর্গ হলো ভারত। এসাইলাম সিকার দের বন্ধু, খুউব ভালো কথা। কিন্তু, লাখ লাখ অসহায় রহিঙ্গা যখন ভারতের কাছে সাহায্য চাইছিলো, তখনতো, ভারতের মানচিত্র পৃথিবীর মানচিত্রে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না।
লিখে তো আর শেষ করা যাবে না তবে শেষে একটা প্রশ্ন, যারা বিদেশে আছে তাদের ‘ক্যাইসে হো’ অভিজ্ঞতাটা কেমন? কত এরোগ্যান্ট আর সুপেয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগলে এমনটা করতে পারে?
আপনাদের কোন অভিজ্ঞতা থাকলে প্লিজ শেয়ার করুন সেই সব চোখে ঠুলি পরা লোক গুলার জন্য।
মনে কর, তুই জীবনে প্রথম কোন একটা ইন্ডিয়ানের সাথে দেখা হইলো, তোর চেহারা দেখেই বুঝে যায় যে তুই ইন্ডিয়ান। আর প্রথম যেই বাক্যটা মুখ থেকে বের হয়, সেটা হলো সুর দিয়ে, “ক্যাইসা হোওও”? আমার তখন মনে হয় কানের নিচে একটা লাগায় দিয়ে বলি, “হারামজাদা, তোরে দুইটা জুতার বারি”। কখনও যে বলি নাই তাও না। ওরা মনে করে আমাদের হিন্দি জানাটা ফরজ। আরেকটা ব্যাপার হয়, দেখলেই প্রশ্ন করে, “Are you from India?” মনে হয়, ইন্ডিয়া ছাড়া আর কোন দেশ পৃথিবীতে নাই। আমি এই প্রশ্ন শুনলেই এখন বলি, I am from ‘Kiribati’. তখন ওদের কনফিউজ্ড চেহারা দেখতে ভিষণ ভালো লাগে
No comments:
Post a Comment