১৯৬৯ সালের গ্রীষ্মকাল। বিশ্ববাসী তখনো জানে না ইতিহাসের দিনপঞ্জিতে কি বৈপ্লবিক পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। নীরবে-নিভৃতে কাজ করে চলেছেন গুটিকয়েক কম্পিউটার বিজ্ঞানী। লক্ষ্য একটাই_ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মব্যস্ত বিজ্ঞানীদের মধ্যে পারস্পরিক ভাববিনিময়ের পথ সুগম করার জন্য একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা।এই নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই ভিত্তি রচিত হলো শতাব্দীর বিস্ময় ইন্টারনেটের যোগাযোগ। প্রযুক্তিতে সৃষ্টি হলো নতুন দিগন্ত।
তখন কোনো মানসম্মত অপারেটিং সিস্টেম ছিল না। কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করতে পারত না। এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডাটা সরবরাহের সবচেয়ে সুবিধাজনক পথ ছিল একটি থেকে ম্যাগনেটিক টেপ বা পাঞ্চ কার্ড নিয়ে অন্যটির মধ্যে ঢোকানো। এই প্রতিকূলতা কম্পিউটার বিশারদদের চিন্তিত করে তুলল। এর মধ্যে ছিলেন জে সি আর লিকলিডার ও রবার্ট টেইলর। অন্য সহকর্মীদের মতো তারাও ভাবতে বসলেন কিভাবে কম্পিউটারগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে এগুলো আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়।
আরপা নামে একটি প্রতিষ্ঠান এ প্রজেক্টে অর্থের জোগান দেয়। টেইলর ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আরপা ডিরেক্টরের অফিসে টাকার জন্য ধরনা দিতে যাওয়ার দিনটিকে আজো স্পষ্টভাবে স্মরণ করতে পারেন। ডিরেক্টরের সঙ্গে তার কথা হয় ১৫/২০ মিনিট। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি এই আইডিয়া লুফে নেন, কালবিলম্ব না করে ব্যবস্থা করে দেন এক মিলিয়ন ডলারের। বিজ্ঞানীরা কাজটা গ্রহণ করেছিলেন তীব্র অনুরাগের সঙ্গে। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনার জন্ম দিতে যাচ্ছেন এই অনুভূতি তাদের আচ্ছন্ন করে রেখেছিল।
১৯৬৮ সালে লিকলিডার ও টেইলর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে জানালেন, কম্পিউটার তথ্য আদান-প্রদানের একটি চমৎকার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। তারা একটি নেটওয়ার্ক তৈরির কাজে আত্মনিয়োগ করলেন, যা সৃষ্টি করবে বৈজ্ঞানিকদের নতুন একটি সংঘ, যারা ভৌগোলিক দিক দিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রযুক্তিগতভাবে একই সুতায় গাঁথা। প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল চারটি সাইটের মধ্যে সংযোগ স্থাপন; ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান্তা বারবারা বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইউটাই বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট ভিন্ট সার্ফ, স্টিভ ক্রকার, জন পস্টেলসহ আরও অনেকের ওপর দায়িত্ব পড়েছিল প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার নির্মাণের। তাদের কাজ ছিল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোর মধ্যে ডাটা সঞ্চালন করা_ প্রয়োজনীয় তথ্য যাতে নিশ্চিতভাবে সঠিক গন্তব্যে পৌছতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা।
২১ নভেম্বর এলো সেই শুভক্ষণটি। দীর্ঘদিন কঠোর পরিশ্রমের পর অবশেষে গবেষকরা প্রস্তুত হলেন প্রথম আনুষ্ঠানিক ডেমনেস্ট্রেশনের জন্য। একটি কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হলো শত শত মাইল দূরে অবস্থিত স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডগ এঞ্জেলসবার্টস ল্যাবে রাখা আরেকটি কম্পিউটারের। দুঃখের বিষয়, ওই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দী করে রাখার জন্য সেদিন সেখানে কোনো আলোকচিত্রী ছিলেন না।
তখন কোনো মানসম্মত অপারেটিং সিস্টেম ছিল না। কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করতে পারত না। এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডাটা সরবরাহের সবচেয়ে সুবিধাজনক পথ ছিল একটি থেকে ম্যাগনেটিক টেপ বা পাঞ্চ কার্ড নিয়ে অন্যটির মধ্যে ঢোকানো। এই প্রতিকূলতা কম্পিউটার বিশারদদের চিন্তিত করে তুলল। এর মধ্যে ছিলেন জে সি আর লিকলিডার ও রবার্ট টেইলর। অন্য সহকর্মীদের মতো তারাও ভাবতে বসলেন কিভাবে কম্পিউটারগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে এগুলো আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়।
আরপা নামে একটি প্রতিষ্ঠান এ প্রজেক্টে অর্থের জোগান দেয়। টেইলর ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আরপা ডিরেক্টরের অফিসে টাকার জন্য ধরনা দিতে যাওয়ার দিনটিকে আজো স্পষ্টভাবে স্মরণ করতে পারেন। ডিরেক্টরের সঙ্গে তার কথা হয় ১৫/২০ মিনিট। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি এই আইডিয়া লুফে নেন, কালবিলম্ব না করে ব্যবস্থা করে দেন এক মিলিয়ন ডলারের। বিজ্ঞানীরা কাজটা গ্রহণ করেছিলেন তীব্র অনুরাগের সঙ্গে। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনার জন্ম দিতে যাচ্ছেন এই অনুভূতি তাদের আচ্ছন্ন করে রেখেছিল।
১৯৬৮ সালে লিকলিডার ও টেইলর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে জানালেন, কম্পিউটার তথ্য আদান-প্রদানের একটি চমৎকার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। তারা একটি নেটওয়ার্ক তৈরির কাজে আত্মনিয়োগ করলেন, যা সৃষ্টি করবে বৈজ্ঞানিকদের নতুন একটি সংঘ, যারা ভৌগোলিক দিক দিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রযুক্তিগতভাবে একই সুতায় গাঁথা। প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল চারটি সাইটের মধ্যে সংযোগ স্থাপন; ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান্তা বারবারা বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইউটাই বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট ভিন্ট সার্ফ, স্টিভ ক্রকার, জন পস্টেলসহ আরও অনেকের ওপর দায়িত্ব পড়েছিল প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার নির্মাণের। তাদের কাজ ছিল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোর মধ্যে ডাটা সঞ্চালন করা_ প্রয়োজনীয় তথ্য যাতে নিশ্চিতভাবে সঠিক গন্তব্যে পৌছতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা।
২১ নভেম্বর এলো সেই শুভক্ষণটি। দীর্ঘদিন কঠোর পরিশ্রমের পর অবশেষে গবেষকরা প্রস্তুত হলেন প্রথম আনুষ্ঠানিক ডেমনেস্ট্রেশনের জন্য। একটি কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হলো শত শত মাইল দূরে অবস্থিত স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডগ এঞ্জেলসবার্টস ল্যাবে রাখা আরেকটি কম্পিউটারের। দুঃখের বিষয়, ওই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দী করে রাখার জন্য সেদিন সেখানে কোনো আলোকচিত্রী ছিলেন না।
No comments:
Post a Comment