Notice

YouTube.com/BESTTravelers - Visit and SUBSCRIBE to our travel related YouTube Channel named "BEST Travelers"

Thursday, February 28, 2013

2013 Shahbag Protest: ২০১৩ না হয়ে যদি এখন ১৯৭১ হত

রাজাকারদের বীভৎস যৌন নির্যাতন, কতটুকু জানেন?
একাত্তরে আমাদের নারীদের ওপর পরিচালিত রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি সৈন্যদের যৌন নির্যাতনের ধরন কতোটা ভয়াবহ, কতোটা বীভৎস ছিল- যুদ্ধ চলাকালে এদেশ থেকে প্রকাশিত কোনো দৈনিকে তা প্রকাশিত হয় নি। প্রকাশিত হয়নি বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে পরিবেশিত বাংলাদেশের যুদ্ধ সংবাদেও।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পর থেকে জাতীয় দৈনিকগুলোতে পাকিস্তানিদের নারী নির্যাতনের বেশ কিছু সংবাদ প্রকাশিত হলেও ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌন নির্যাতনের ধরন, প্রকৃতি, শারীরিক, মানসিক প্রতিক্রিয়াগুলো নিয়ে খুব কমই গবেষণা হয়েছে। “স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস লিখন ও দলিল প্রামাণ্যকরন” প্রকল্পের তৎকালীন গবেষক, বর্তমানে ইংরেজী দৈনিক ডেইলি ষ্টারের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক আফসান চৌধুরী এজন্য ইতিহাস রচনার সনাতনি দৃষ্টিভঙ্গিকে দায়ী করে বলেছেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখনে বরাবরই সশস্ত্র লড়াই, ক্ষমতাসীন পুরুষদের কৃতিত্ব গ্রন্থিত করার উদ্যোগ চলছে, কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ে লাখ লাখ নারী অস্ত্র হাতে যুদ্ধ না করেও যেভাবে যুদ্ধের ভয়াবহতার শিকার হয়েছে, সনাতনি মানুসিকতার কারণে কখনই তা নিয়ে গবেষণার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সৈন্যদের যৌন সন্ত্রাসের ধরন সম্পর্কে প্রথম তথ্য পাওয়া যায় ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত আমেরিকান সাংবাদিক সুসান ব্রাউন মিলার রচিত “এগেইনেস্ট আওয়ার উইল: ম্যান, উইম্যান এন্ড রেপ” গ্রন্থে। দেশে এ বিষয়ক গবেষণাকর্ম প্রকাশিত হয় খুব কম এবং যা হয়েছে ৮০ সালের পর থেকে। যুদ্ধের পর ৭৬-৭৭ সাল পর্যন্ত গ্রহণ করা এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাক্ষাৎকার একমাত্র প্রকাশিত হয় প্রামাণ্যকরণ প্রকল্পের অষ্টম খন্ডে। কিন্তু এই খন্ড যাচাই করে দেখা গেছে, এতে মোট গৃহীত ২৬২টি সাক্ষাৎকারের মধ্যে নির্যাতনের সাক্ষাৎকার মাত্র ২২টি।

প্রকল্পের তৎকালীন গবেষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, প্রামাণ্যকরণ কমিটি তাদের কার্যালয়ে প্রায় সাড়ে ৩ লাখের বেশি পৃষ্ঠার তথ্য সংগ্রহ করেছে। এরমধ্যে মাত্র ১৫ হাজার পৃষ্ঠা গ্রন্থিত আছে। বাকি লাখ লাখ পৃষ্ঠার তথ্যের মধ্যে নারী নির্যাতন বিষয়ক বেশকিছু ঘটনা আছে। প্রকল্পের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক কে এম মহসীন বলেন,
‘ডকুমেন্টগুলো এখন জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব গ্র্রহনের পারস্পরিক টানাহেচড়ায় অরক্ষিত অবস্থায় আছে। যতোদূর জানি, বেশ কিছু ডকুমেন্ট চুরিও হয়ে গেছে।’
মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত লিখিত সূত্র, সমাজকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৫ মার্চ থেকে পাকিস্তানিদের ধারাবাহিক ধর্ষণ উন্মত্ততার সঙ্গে মধ্য এপ্রিল থেকে যুক্ত হতে শুরু করে এদেশীয় দোসর রাজাকার, শান্তি কমিটি, আল বদর ও আল শামস্ বাহিনীর সদস্যরা। এরা বিভিন্ন স্থান থেকে নারীদের ধরে আনার পাশাপাশি ধর্ষকে অংশ নিয়েছে। প্রত্যেকটি ক্যান্টনমেন্ট, পুলিশ ব্যারাক, স্থায়ী সেনা বাঙ্কার ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল কলেজ, সরকারি ভবন ধর্ষণের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

জানা যায়, একাত্তরে পুরো ৯ মাস পাকিস্তানি সৈন্যরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘটনাস্থলে, কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে বাঙালি নারীদের ধরে নিয়ে গিয়ে দিনের পর দিন আটকে রেখে ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটিয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা গণধর্ষণ। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে বাড়ির পুরুষ সদস্য, স্বামীদের হত্যা করার পর নারীদের উপর ধর্ষণ নির্যাতন চালাতো পাকিস্তানী সৈন্যরা। ৯ থেকে শুরু করে ৭৫ বছরের বৃদ্ধা কেউই পাকিস্তানী সৈন্য বা তাদের দোসরদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। সুসান ব্রাউনি মিলার তার গ্রন্থের ৮৩ পাতায় উল্লেখ করেছেন, কোনো কোনো মেয়েকে পাকসেনারা এক রাতে ৮০ বারও ধর্ষণ করেছে। ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির “যুদ্ধ ও নারী” গ্রন্থ থেকে জানা যায়, এক একটি গণধর্ষণে ৮/১০ থেকে শুরু করে ১০০ জন পাকসেনাও অংশ নিয়েছে। একাত্তরের ভয়াবহ ধর্ষণ সম্পর্কে একমাত্র জবানবন্দিদানকারী সাহসিক ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী তার সাক্ষাৎকারে (একাত্তরের দুঃসহ স্মৃতি, সম্পাদনা শাহরিয়ার কবির) জানান,
“রাতে ফিদাইর (উচ্চ পদস্থ পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা) চিঠি নিয়ে ক্যাপ্টেন সুলতান, লে. কোরবান আর বেঙ্গল ট্রেডার্সও অবাঙালি মালিক ইউসুফ এরা আমাকে যশোরে নিয়ে যেত। যাওয়ার পথে গাড়ির ভেতরে তারা আমাকে ধর্ষণ করেছে। নির্মম, নৃশংস নির্যাতনের পর এক পর্যায়ে আমার বোধশক্তি লোপ পায়। ২৮ ঘন্টা সঙ্গাহীন ছিলাম”।
পাকিস্তানি সৈন্যদের ধর্ষণের বীভৎসতার ধরন সম্পর্কে পুনর্বাসন সংস্থায় ধর্ষিতাদের নিবন্ধীকরণ ও দেখাশোনার সঙ্গে যুক্ত সমাজকর্মী মালেকা খান জানান, সংস্থায় আসা ধর্ষিত নারীদের প্রায় সবারই ছিল ক্ষত-বিক্ষত যৌনাঙ্গ। বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ছিড়ে ফেলা রক্তাক্ত যোনিপথ, দাঁত দিয়ে ছিড়ে ফেলা স্তন, বেয়োনেট দিয়ে কেটে ফেলা স্তন-উরু এবং পশ্চাৎদেশে ছুরির আঘাত নিয়ে নারীরা পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসতো।

পাকিস্তানি সৈন্যরা আমাদের নারীদের একাত্তরে কতো বীভৎসভাবে ধর্ষণসহ যৌন নির্যাতন করেছে তার ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশী ধরা পড়ে ১৮ ফেব্র“য়ারীর ৭৪ সালে গৃহীত রাজারবাগ পুলিশ লাইনে একাত্তরে সুইপার হিসেবে কাজ করা রাবেয়া খাতুনের বর্ণনা থেকে। প্রামান্যকরন প্রকল্পের অষ্টম খন্ডে গ্রন্থিত ঐ বর্ণনায় কয়েকটি অংশ: রাবেয়া খাতুন জানান,
‘উন্মত্ত পান্জাবি সেনারা নিরীহ বাঙালী মেয়েদের শুধুমাত্র ধর্ষণ করেই ছেড়ে দেয় নাই অনেক পশু ছোট ছোট বালিকাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করে ওদের অসার রক্তাক্ত দেহ বাইরে এনে দুজনে দুপা দুদিকে টেনে ধরে চড়াচড়িয়ে ছিড়ে ফেলে ছিল। পদস্থ সামরিক অফিসাররা সেই সকল মেয়েদের ওপর সম্মিলিত ধর্ষণ করতে করতে হঠাৎ একদিন তাকে ধরে ছুরি দিয়ে তার স্তন কেটে, পাছার মাংস কেটে, যোনি ও গুহ্যদ্বারের মধ্যে সম্পূর্ণ ছুরি চালিয়ে দিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে ওরা আদন্দ উপভোগ করতো ।’ 
রাবেয়া খাতুনের আরেকটি বর্ণনায় জানা যায়,
‘প্রতিদিন রাজারবাগ পুলিশলাইনের ব্যারাক থেকে এবং হেডকোয়ার্টার অফিসে ওপর তলা থেকে বহু ধর্ষিত মেয়ের ক্ষত-বিক্ষত বিকৃত লাশ ওরা পায়ে রশি বেধে নিয়ে যায় এবং সেই জায়গায় রাজধানী থেকে ধরে আনা নতুন মেয়েদের চুলের সঙ্গে বেধে ধর্ষণ আরম্ভ করে দেয়। ’
২৫ মার্চ ১৯৭১ রাতে সুইপার রাবেয়া খাতুন রাজারবাগ পুলিশ লাইনের এস এফক্যান্টিনে ছিলেন।পুলিশদের প্রতিরোধ ব্যর্থ হবার পরে ধর্ষিত হন রাবেয়া খাতুন।সুইপার বলে প্রাণে বেঁচে যান কারণ রক্ত ও লাশ পরিস্কার করার জন্য তাকে দরকার ছিল সেনাবাহিনীর।এরপরের ঘটনার তিনি যে বিবরণ দিয়েছেন তা এইরকম :
২৬ মার্চ ১৯৭১,বিভিন্ন স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেয়েদের ধরে আনা হয়।আসা মাত্রই সৈনিকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে।তারা ব্যারাকে ঢুকে প্রতিটি যুবতী,মহিলা এবং বালিকার পরনের কাপড় খুলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে ধর্ষণে লিপ্ত হতে থাকে।রাবেয়া খাতুন ড্রেন পরিস্কার করতে করতে এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।পাকসেনারা ধর্ষন করেই থেকে থাকেনি,সেই মেয়েদের বুকের স্তন ও গালের মাংস কামড়াতে কামড়াতে রক্তাক্ত করে দেয়,মাংস তুলে নেয়।মেয়েদের গাল, পেট, ঘাড়, বুক, পিঠ ও কোমরের অংশ তাদের কামড়ে রক্তাক্ত হয়ে যায়।এভাবে চলতে থাকে প্রতিদিন।যেসব মেয়েরা প্রাথমিকভাবে প্রতিবাদ করত তাদের স্তন ছিড়ে ফেলা হত,যোনি ও গুহ্যদ্বা্রের মধ্যে বন্দুকের নল,বেয়নেট ও ধারালো ছুরি ঢূকিয়ে হত্যা করা হত।বহু অল্প বয়স্ক বালিকা উপুর্যুপুরি ধর্ষণে নিহত হয়।এর পরে লাশগুলো ছুরি দিয়ে কেটে বস্তায় ভরে বাইরে ফেলে দেয়া হত।হেড কোয়ার্টারের দুই,তিন এবং চারতলায় এই্ মেয়েদের রাখা হত,মোটা রডের সাথে চুল বেঁধে।এইসব ঝুলন্ত মেয়েদের কোমরে ব্যাটন দিয়ে আঘাত করা হত প্রায় নিয়মিত,কারো কারো স্তন কেটে নেয়া হত,হাসতে হাসতে যোনিপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হত লাঠি এবং রাইফেলের নল।কোন কোন সৈনিক উঁচু চেয়ারে দাঁড়িয়ে উলঙ্গ মেয়েদের বুকে দাঁত লাগিয়ে মাংস ছিড়ে নিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ত,কোন মেয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তখনই হত্যা করা হত।কোন কোন মেয়ের সামনের দাঁত ছিল না,ঠোঁটের দু’দিকের মাংস কামড়ে ছিড়ে নেয়া হয়েছিল,প্রতিটি মেয়ের হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে থেতলে গিয়েছিল লাঠি আর রডের পিটুনিতে।কোন অবস্থাতেই তাঁদের হাত ও পায়ের বাঁধন খুলে দেয়া হত না,অনেকেই মারা গেছে ঝুলন্ত অবস্থায়।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনের একজন সুবেদার খলিলুর রহমানের অভিজ্ঞতা এইরকম :
মেয়েদের ধরে নিয়ে এসে,ট্রাক থেকে নামিয়ে সাথেই সাথেই শুরু হত ধর্ষন,দেহের পোশাক খুলে ফেলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে ধর্ষণ করা হত।সারাদিন ধর্ষণের পরে এই মেয়েদের হেড কোয়ার্টার বিল্ডিং এ উলঙ্গ অবস্থায় রডের সাথে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখ হত,এবং রাতের বেলা আবারো চলত নির্যাতন।প্রতিবাদ করা মাত্রই হত্যা করা হত,চিত করে শুইয়ে রড,লাঠি,রাইফেলের নল,বেয়নেট ঢুকিয়ে দেয়া হত যোনিপথে,কেটে নেয়া হত স্তন।অবিরাম ধর্ষণের ফলে কেউ অজ্ঞান হয়ে গেলেও থামত না ধর্ষণ।
ডোম পরদেশীর বর্ণনা থেকে নিচের ঘটনাগুলি জানা যায় :
  • ২৭ মার্চ,১৯৭১,ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালের লাশ ঘর থেকে লাশ ট্রাকে তুলতে গিয়ে একটি চাদর ঢাকা ষোড়শী মেয়ের লাশ দেখতে পান পরদেশী।সম্পূর্ণ উলঙ্গ লাশটির বুক এবং যোনিপথ ছিল ক্ষতবিক্ষত,নিতম্ব থেকে টুকরো টুকরো মাংস কেটে নেয়া হয়েছিল।
  • ২৯ মার্চ শাখারীবাজারে লাশ তুলতে গিয়ে পরদেশী সেখানকার প্রায় প্রতিটি ঘরে নারী,পুরুষ,আবাল বৃদ্ধ বনিতার লাশ দেখতে পান,লাশগুলি পচা এবং বিকৃত ছিল।বেশিরভাগ মেয়ের লাশ ছিল উলঙ্গ,কয়েকটি যুবতীর বুক থেকে স্তন খামচে,খুবলে তুলে নেয়া হয়েছে,কয়েকটি লাশের যোনিপথে লাঠি ঢোকান ছিল।মিল ব্যারাকের ঘাটে ৬ জন মেয়ের লাশ পান তিনি,এদের প্রত্যেকের চোখ,হাত,পা শক্ত করে বাঁধা ছিল,যোনিপথ রক্তাক্ত এবং শরীর গুলিতে ঝাঝরা ছিল।
  • ঢাকা পৌরসভার সুইপার সাহেব আলীর ভাষ্যে ২৯ মার্চ তার দল একমাত্র মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে কয়েক ট্রাক লাশ উদ্ধার করে।তিনি আরমানীটোলার এক বাড়িতে দশ এগারো বছরের একটি মেয়ের লাশ দেখতে পান,সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষত,জমাট বাঁধা ছোপ ছোপ রক্ত সারা গায়ে,এবং তার দেহের বিভিন্ন স্থানের মাংস তুলে ফেলা হয়েছিল।ধর্ষণ শেষে মেয়েটির দুই পা দু’দিক থেকে টেনে ধরে নাভি পর্যন্ত ছিড়ে ফেলা হয়েছিল।
  • ৩০ মার্চ ঢাবির রোকেয়া হলের চারতলার ছাদের উপরে আনুমানিক ১৯ বছরের একটি মেয়ের লাশ পান সাহেব আলী,যথারীতি উলঙ্গ।পাশে দাঁড়ানো একজন পাক সেনার কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন মেয়েটিকে হত্যা করতে ধর্ষণ ছাড়া অন্য কিছু করার দরকার পড়েনি,পর্যায়ক্রমিক ধর্ষণের ফলেই তার মৃত্যু ঘটে।মেয়েটির চোখ ফোলা ছিল,যৌনাঙ্গ এবং তার পার্শ্ববর্তী অংশ ফুলে পেটের অনেক উপরে চলে এসেছে,যোনিপথ রক্তাক্ত,দুই গালে এবং বুকে কামড়ের স্পষ্ট ছাপ ছিল।
  • ’৭১ এ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে পাকবাহিনীর একটি বিরাট ক্যাম্পে পরিণত করা হয়।এখানে বন্দী ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছাত্রী মঞ্জিলা এবং তার দুই বোন মেহের বানু এবং দিলরুবা।।তাদেরকে আরো ৩০ জন মেয়ের সাথে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়,সার্বক্ষণিক প্রহরায় থাকতো দুজন সশস্ত্র গার্ড।এই মেয়েগুলোকে ওই ক্যাম্পের সামরিক অফিসারদের খোরাক হিসেবে ব্যবহার করা হত।প্রতি সন্ধ্যায় নিয়ে যাওয়া হত ৫/৬ জন মেয়েকে,এবং ভোরবেলা ফিরিয়ে দেয়া হত অর্ধমৃত অবস্থায়।প্রতিবাদ করলেই প্রহার করা হত পূর্বোক্ত কায়দায়।একবার একটি মেয়ে একজন সৈনিকের হাতে আঁচড়ে দিলে তখনই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।এই বন্দীশালায় খাবার হিসাবে দেয়া হত ভাত এবং লবন।
সাংবাদিক রণেশ মৈত্রের একটি অনুসন্ধান থেকে জানা যায়,রংপুর ক্যান্টনমেন্ট এবং রংপুর আর্টস কাউন্সিল ভবনটি নারী নির্যাতনের জন্য ব্যবহার করা হত।এখানে বন্দী ছিল প্রায় একশ মেয়ে এবং প্রতিদিনই চলত নির্যাতন,যারা অসুস্থ হয়ে পড়ত তাদের হত্যা করা হত সাথে সাথেই।স্বাধীনতার পরে আর্টস কাউন্সিল হলের পাশ থেকে বহুসংখ্যক মহিলার শাড়ি,ব্লাউজ,অর্ধগলিত লাশ,এবং কংকাল পাওয়া যায়।প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জানা যায়,রংপুর থেকে প্রায় তিনশ/চারশ মেয়েকেঢাকা এবং অন্যান্য স্থানে পাচার করে দেওয়া হয়,তাদের আর কোন সন্ধান মেলেনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যান বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের একটি গবেষণায়জানা যায় রাজশাহীর জুগিসশো গ্রামে মে মাসের কোন একদিন পাকবাহিনী ১৫ জনমহিলাকে ধর্ষণ করে এবং অন্যান্য নির্যাতন চালায়।এ অঞ্চলের ৫৫ জন তরুনীকেধরে নিয়ে যাওয়া হয়।বাঁশবাড়ীয়া গ্রামে পাকবাহিনী প্রায় দেড়শো জন বিভিন্ন বয়সী মেয়েকে ঘর থেকে বের করে প্রকাশ্যে ধর্ষণ করে।এদের মধ্যে ১০ জনের তখনই মৃত্যু হয়।

একই গবেষণা থেকে বাগমারা গ্রামের দেলজান বিবির কথা জানা যায়।সময়টা ছিলরমজান মাস,দেলজান বিবি রোজা ছিলেন।হঠাৎ পাকসেনারা ঘরে ঢুকে পড়ে এবং ধর্ষণশুরু করে।একই গ্রামের সোনাভান খাতুনকেও রাস্তার মধ্যে প্রকাশ্যে ধর্ষণ করা হয়।

১০ ডিসেম্বর যশোরের মাহমুদপুর গ্রামের একটি মসজিদ থেকে এগারোটি মেয়েকেউলঙ্গ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।তাদেরকে যুদ্ধের সময় প্রায় সাত মাস ধরেমসজিদের ভেতরেই ধর্ষণ এবং বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা হয়।

যশোর ক্যান্টনমেন্টে চৌদ্দ দিন বন্দী থাকা হারেছ উদ্দিনের ভাষ্যে জানা যায়ক্যান্টনমেন্টে ১২ থেকে ৫০ বছর বয়সের ২৯৫ জন মেয়েকে আটক রাখা হয়েছিল,তাদেরউপর নির্যাতন চলত প্রতি রাতেই।হারেছ উদ্দিনের সেলটি বেশ খানিকটা দূরেথাকলেও নির্যাতনের সময় মেয়েদের চিৎকার তিনি শুনতে পেতেন।প্রতিদিন বিকেলে একজন সুবাদার এসে এসব কে কোথায় যাবে তার একটি তালিকা বানাত,সন্ধ্যা হলেই এইতালিকা অনুযায়ী মেয়েদের পাঠানো হত।অনেক সময় খেয়াল খুশিমত বাইরে নিয়ে এসেতাদের এলোপাথাড়ি ভাবে ধর্ষণ করা হত।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মাটিরহাট গ্রামের ফুলজান যুদ্ধের সময় আট মাসেরগর্ভবতী ছিল,তার বাবা মায়ের সামনেই তাকে কয়েকজন সৈনিক উপুর্যুপুরি ধর্ষণকরে।তার গর্ভের সন্তানটি মারা যায়।

কুমারখালির বাটিয়ামারা গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলামের বর্ণনায় একটি আপাত-অদ্ভুতঘটনা জানা যায়।ঐ এলাকার একজন রাজাকারকে একদিন দুজন পাকসেনা মেয়ে যোগাড় করেদিতে বললে সে তাদেরকে তার বাড়ি নিয়ে যায়,খবর পেয়ে বাড়ির সব মেয়ে পালিয়েগেলেও তার বৃদ্ধা মা বাড়িতে থেকে যান।সৈনিক দু’জন রাজাকারটির বুকে রাইফেলঠেকিয়ে পালাক্রমে তার মাকে ধর্ষণ করে।এর পরে রাজাকারটির আর কোন খোঁজ পাওয়াযায়নি।

নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে কম যায়নি বিহারীরাও।নৃশংসতায় তারা কোন কোন সময়ছাড়িয়ে গিয়েছিল পাকবাহিনীকেও।২৬ মার্চ ’৭১ মীরপুরের একটি বাড়ি থেকেপরিবারের সবাইকে ধরে আনা হয় এবং কাপড় খুলতে বলা হয়।তারা এতে রাজি না হলেবাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে এবং মাকে ধর্ষণ করতে।এতেও রাজি নাহলে প্রথমে বাবা এবং ছেলে কে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয় এবং মা মেয়ে দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেঁধে উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।

খুলনার ডাঃ বিকাশ চক্রবর্তীর কাছ থেকে জানা যায়,সেখানকার পাবলিক হেলথ কলোনিএলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্থাপিত ক্যাম্পে বিপুল সংখ্যক মেয়েকে(প্রায় সববয়সের) আটকে রেখে পূর্বোক্ত কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়।যুদ্ধ শেষেক্যাম্পের একটি কক্ষ থেকে কয়েকটি কাঁচের জার উদ্ধার করা হয়,যার মধ্যে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিল মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ।অংশগুলি কাটা হয়ে ছিল খুব নিখুঁতভাবে।

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পরও পাকিস্তানি সৈন্যরা বাঙ্কারে আটকে রেখে নির্বিচারে ধর্ষণ করেছে বাঙালী নারীদের। বিচারপতি কে এম সোবহান প্রত্যক্ষ দর্শনের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন,
‘ ১৮ ডিসেম্বর মিরপুরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া একজনকে খুঁজতে গিয়ে দেখি মাটির নিচে বাঙ্কার থেকে ২৩জুন সম্পূর্ণ উলঙ্গ, মাথা কামানো নারীকে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে পাক আর্মিরা। ’
বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, পুরোপুরি পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত পাক আর্মিদের ধর্ষণ-উত্তর অন্যান্য শারীরিক নির্যাতনের ফলে বেশ কিছু মেয়ে আত্মহত্যা করেছে, কাউকে কাউকে পাকসেনারা নিজেরাই হত্যা করেছে; আবার অনেকেই নিরুদ্দিষ্ট হয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপক ড. রতন লাল চক্রবর্তী ৭২- এর প্রত্যক্ষদর্শনের অভিজ্ঞতা থেকে জানান,
‘ যুদ্ধের পর পর ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে উদ্বাস্তুর মতো ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে বেশ কিছু নারীকে। তাদের ড্রেসআপ এবং চলাফেরা থেকে আমরা অনেকেই নিশ্চিত জানতাম ওরা যুদ্ধের শিকার এবং ওদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।
ওহে ছাত্রীসস্থা, দেখো তোমার বয়সের অনেকেই ওরা, ওদের ও তোমার মত দু চোখ ভরা স্বপ্ন ছিল। নরক যন্ত্রণা ভুগিয়ে ওদের স্বপ্ন গুলো যারা কেড়ে নিল বা নিতে সাহায্য করলো তাদের তুমি আজ আলিম মানো অথচ দেখো কি বীভৎস কি হিংস্র জানোয়ার ছিল এরা।

২০১৩ না হয়ে যদি এখন ১৯৭১ হত। তোমার ও এমন এমন পরিনতি হতে পারতো। তখন হয়তো তোমার পরিবারকেও ৪২ টা বছর দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করতো হত খুনি, ধর্ষকের আস্ফালন।

Wednesday, February 27, 2013

2013 Shahbag Protest: Views of Anik Devnath

[Following article is collected]
আমি Anik Devnath। মন চাইলে ৫ টা মিনিট সময় নিয়ে কথাগুলো শুনবেন, না শুনলেও খুব একটা ক্ষতি নেই।

আমার নামটা শুনেই হয়তো আপনাদের কারো কারো (সবার না) মাথায় দুটি জিনিস ঢুকে গেছে:

  • এই ছেলেটা যেহেতু হিন্দু, সেহেতু ও ইসলামকে কতটুকুই বা জানে এবং মুসলিমদের কতটুকুই বা সম্মান দিবে;
  • এই ছেলেটা যেহেতু হিন্দু, সেহেতু ও একজন সিলমারা আওয়ামীলীগের দালাল এবং ঘুরেফিরে সবসময় আওয়ামী প্রোপাগান্ডার কথাই বলবে।

দেখুন, আমাদের দেশর ৯০% মানুষ মুসলিম। আমার বন্ধু-বান্ধব ও সুহৃদদের ক্ষেত্রেও অনুপাতটা একই রকম। আমার বিপদে-আপদে এগিয়ে আসে আমার এই নিকট মুসলিম মানুষগুলোই, আমি নিজেও অন্যের বিপদের সময় ‘হিন্দু-মুসলিম’ হিসেব না করেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি; আমার ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা তাদের জন্যই। আর হ্যাঁ, আওয়ামীলীগ সরকার আমাকে ১০ টাকা কেজি চালও দেয় নি অথবা বিশ্বজিৎ দাসের হত্যাকারীদের বিচারও এখনো ঠিকঠাকমতো করে নি। তাই, আপনি যদি মনে করেন, আওয়ামীলীগ আমার জন্মগত রাজনৈতিক বাপ-মা, সেটাও ভুল হবে। তাই, আমার কোনো কথা বিবেচনা করার সময় একটা নিউট্রাল পজিশনে থেকেই বিবেচনা করবেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারী বিকেলে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবনের রায়ের প্রতিবাদে যখন সাধারণ মানুষরা রাস্তায় নামে, তখন কিন্তু কোনো আওয়ামীলীগ-জামাত ইস্যু ছিলো না, ছিলো না কোনো আস্তিক-নাস্তিক ইস্যু। কেবলমাত্র রাজাকারদের ফাঁসির দাবীতে অবস্থান নেয়া লোকগুলোর মধ্যেও ৯০% মুসলিমই ছিলো; রাজাকারদের ফাঁসির দাবীতে নামার নাটক করে মূলত ধর্মকে অবমাননা করার উদ্দেশ্য নিয়ে যে কথাটি আজ উঠাচ্ছে একটি মহল, তা নিতান্তই অমূলক এবং হাস্যকর। মূল দাবীর জায়গা থেকে ফোকাসটা সরিয়ে নিতে শাহবাগকে ঘিরে ‘গাঁজার আসর, নারী-পুরুষের বেলাল্লাপনা, ধর্মকে অবমাননা, নাস্তিকদের প্রোপাগান্ডা’ ইত্যাদি অমূলক এবং অবান্তর কথাগুলো ছড়ানোর মূল উদ্দেশ্যই ছিলো সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিটাকে কাজে লাগিয়ে মূল দাবী ‘রাজাকারদের ফাঁসি’ থেকে ফোকাসটা সরিয়ে নেয়া। না, রাজাকারদের সাঙ্গপাঙ্গরা সেই উদ্দেশ্য পুরোপুরি হাসিল করতে পারে নি মোটেই, তবে কিছুটা পেরেছে বটে! শাহবাগের আন্দোলনটাকে একদিনও চাক্ষুস করে নি, এমন প্রত্যেকটি মানুষ কিন্তু তাদের মিথ্যা-বানোয়াট প্রচারেই নাক গলাচ্ছে!

অপপ্রচার চালতে গিয়ে মানুষকে কি পরিমাণ বিভ্রান্ত করছে, তা দেখে বিস্মিত হতে হয়। ভাবতে অবাক লাগে, যে দেশের ৯০% মানুষ মুসলিম এবং বাকী ১০% মানুষ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী, তাদের মাঝে ‘নাস্তিক’ কয়জন? অথচ, আজ এমনও প্রচার করা হচ্ছে যে, দেশ নাকি এখন দুইভাগে বিভক্ত- ধর্মপ্রাণ মুসলিম এবং নাস্তিক। আবার এটাও বলা হচ্ছে যে, শাহবাগ ইস্যুর পক্ষে যারা কথা বলছেন, তারা নাকি আসলে ধর্মের বিপক্ষে কথা বলছেন এবং আদতে তারাও নাকি নাস্তিক! কি হাস্যকর একটা ইস্যু বানানো হলো, আর সেই ফাঁদে সবাই পা দিচ্ছে এক এক করে! কোথায় এতো নাস্তিক? কোথায়? দেশের নাস্তিক জনগোষ্ঠীর কি এতোই প্রভাব? তাহলে যে মুক্তিযোদ্ধা গত শুক্রবার নামাজ শেষ করেই শাহবাগের মহাসমাবেশে যোগ দিলেন, তার পরিচয় কি? মিরপুর সরকারী বাংলা কলেজের যে হিন্দু শিক্ষিকা তার আগের শুক্রবার এসেছিলেন সেখানে, তার পরিচয় কি? তারা কি অধার্মিক? নাকি তাদেরকে আওয়ামীলীগ সরকার টাকা দিয়ে সেখানে পাঠাচ্ছে?

আপনি বা আমি, কেউই কিন্তু ফিডারের দুধ খাওয়া শিশু নই। ন্যূনতম বিচারবুদ্ধি কিন্তু সবারই আছে। একটু ভাবুন তো, শাহবাগের আন্দোলনের সাথে সুর মিলিয়ে এই যে আজ সারাদেশের কোটি কোটি মানুষ নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্মাতাল, এরা কি ধার্মিক নয়? রাজাকারদের ফাঁসির দাবীর সাথে এই যে আজ ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ধর্মীয় চেতনাকে ব্যবহার করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, কাজটা আসলে কাদের? আমাদের দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষদের অনুভূতিকে আঘাত করে কেউ কি আদতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাচ্ছে? শাহবাগে যারা ফুল সাজিয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে অভিনব অহিংস প্রতিবাদ জানাচ্ছে, তাদের এই অহিংস প্রতিবাদের ধরণকে যখন ‘ফুল আর আগুন দিয়ে অগ্নিপূজা’ বলা হচ্ছে, তখন কি সেটা সত্যিকারের মুসলিম এবং হিন্দু, উভয়েরই ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে না?

জানি না, বেশী বলে ফেললাম কি না। শেষে দুটো কথা কথা বলা দরকার: ১) এটা ভাবা ভুল যে, যাদের মূল দাবী হচ্ছে ‘রাজাকারদের ফাঁসি’, তারা সবাই সরকার বা আওয়ামীলীগের দুধকলা দিয়ে পোষা অবুঝ মানুষের দল। সত্যিকারের বাংলাদেশীদের একটা নিজস্ব চেতনা আছে। ‘যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবী’ অথবা ‘জয় বাংলা স্লোগান’- কোনোটাই আওয়ামীলীগের প্যাটেন্ট করা সম্পত্তি না। এইদেশের সাধারণ মানুষ বিশাল ম্যান্ডেট দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতায় পাঠিয়েছিলো যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে। সেই দাবীর বাস্তবায়নে একটু নড়চড় হয়েছে বলে যারা রাস্তায় নেমে এসেছে, তারা ওই সাধারণ মানুষগুলোই; তারা আওয়ামীলীগের পা-চাটা জনগোষ্ঠী না; ২) যুদ্ধাপরাদীদের ফাঁসির দাবী মূলত নাস্তিকদের আন্দোলন এবং একমাত্র জামাত-শিবির সমর্থকরাই সত্যিকারের মুসলিম- এইরকম অমূলক দাবীর সাথে যারা তাল মিলাচ্ছেন, মনে রাখবেন, আখেরে হয়তো নিজের ধর্মটাকেই ছোট করছেন। সত্যিকারের মুসলিম কখনো রাজাকার বা তাদের দোসর হতে পারে না।

মনে রাখবেন, দেশের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা মানুষেরা বা ভাষাশহীদদের স্মৃতিতে তৈরী করা শহীদ মিনারে হামলাকারীরা সত্যিকারের দেশদ্রোহী। আর দেশদ্রোহীরা কখনো ধার্মিক হতে পারে না। আসুন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টায় ধর্মব্যবসায়ীদের তৈরী করা ফাঁদে পা না দিই আমরা।

সত্যের জয় হোক, ধর্মের হোক, জয় হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার......

Wednesday, February 20, 2013

2013 Shahbag Protest: শাহবাগ থেকে বারবার নিরীহ কর্মসূচি কেন? কেন জঙ্গি কর্মসূচি নয়?

শাহবাগের গণজমায়েত যখন ফুঁসছে তখন বেলুন উড়িয়ে দেয়ার মতো একান্তই নিরীহ কর্মসূচি নেয়ার যৌক্তিকতা কী, সেটি নিয়ে অনেক জিজ্ঞাস্য তৈরি হয়েছে। এখানে স্পষ্ট করে বলে নেয়া উচিত যে এই আন্দোলনের মূল শক্তিই হচ্ছে এর অহিংস অবস্থান। কাদের মোল্লার রায় ঘোষণার পরেই যাঁরা ৫ তারিখ বিকেল বেলা শাহবাগ চত্ত্বর দখল করে বসে পড়েছিলেন, তাঁরা ক্ষোভে ফুসছিলেন, বেদনায় নীল হচ্ছিলেন, দ্রোহে ফেটে পড়েছিলেন। সেই দ্রোহ, ক্ষোভ ও বেদনায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে তাঁরা যদি শাহবাগে গাড়ি ভাংচুর শুরু করতেন, তাহলে কয়েকজন তরুণ হয়তো তাঁদের ক্ষোভ প্রশমনের সাময়িক তৃপ্তি পেতেন, কিন্তু এই যে বড় গণজাগরন, এই যে গণরায়, সেটি অর্জন করা সম্ভব হতো না। ৫ তারিখ বিকেলে নেমে ৫টি গাড়ি ভাংচুর করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার মাধ্যমেই এর বিনাশ ঘটত।

কিন্তু শান্তিপূর্ণ অবস্থানের মাধ্যমে শাহবাগের তারুণ্য তাঁদের ক্ষোভ ও বেদনার সঙ্গে গোটা দেশকে বেঁধে ফেলতে পেরেছে, এটাই হচ্ছে এই তারুণ্যের বড় অর্জন। এই বেঁধে ফেলার কাজটিই প্রতিদিন প্রতিমুহুর্তে শাহবাগ থেকে করা হচ্ছে।

একথা সত্যি যে মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে খুব দ্রুত কিছু সহিংস কর্মসূচি দিয়ে যুদ্ধাপরাধী ও তাঁদের দোসরদেরকে কোনঠাসা করে ফেলা সম্ভব। কিন্তু একথাও মনে রাখতে হবে যে যুদ্ধাপরাধী ও তাঁদের দোসরদের সঙ্গে লাঠি হাতে মারামারি করা সাধারণ জনগনের কাজ নয়। এই দায়িত্ব সরকারের।

জনসাধারণের দায়িত্ব সরকারকে তাঁর কাজ করতে সহায়তা করা, কাজ থেকে বিচ্যুত হলে সরকারকে সঠিক কাজে বাধ্য করা, কিন্তু কোনো অবস্থাতেই সরকারের কাজ নিজের হাতে তুলে নেয়া নয়। আইন শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের, আমরা জনগন সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে সরকারকে তাঁর দায়িত্ব থেকে মুক্তি দিতে পারি না। রাস্তায় জামায়াত শিবিরের সহিংসতা মোকাবেলায় সরকারকেই তার বিচার ব্যবস্থা, তার আইনশৃংখলা বাহিনী এবং তার বাদবাকি সকল শক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যে, শাহবাগের তরুণ প্রজন্ম কিন্তু দেশে অস্থিরতা ছড়াতে কাজ করছে না বরং অস্থিরতা দূর করতে সংগ্রাম করছে। গণজাগরন মঞ্চ সহিংস কর্মসূচির মাধ্যমে যদি মাঠে নেমে পড়ে তাহলে দেশজুড়ে যে অরাজকতা সৃষ্ঠি হবে, সেই অরাজকতার সুযোগে অনেক শক্তিই তাঁদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে পারে। গোটা দেশ এখন ঐক্যবদ্ধ এবং সাহসী, এই মুহুর্তে কোনো হঠকারিতার সুযোগ নেই।

(সংগৃহীত)

Saturday, February 16, 2013

2013 Shahbag Protest: Blogger Rajib's Murder Issue

হ্যাঁ, এইতো......চলো আমরা আস্তিক-নাস্তিক নিয়ে আলোচনা করতে থাকি আর আহমেদ রাজিব এর ব্লগ শেয়ার করতে থাকি, আর মূল আন্দোলনে ২ ভাগ হইয়া নিজেরা মারামারি শুরু করি, যা কিনা জামায়েত-শিবির চাইতেসিল. জামাত খুব সুকৌশলে এমন একজনকে খুনের জন্য বেছে নিয়েছে যার ধর্মবিরোধী অবস্থান খুব সুপ্রতিষ্ঠিত। উদ্দেশ্য একটাই - গণজাগরণের সমমনা মানুষদের মধ্যে আস্তিকতা-নাস্তিকতার ক্যাচাল বাঁধিয়ে বিভক্তি সৃষ্টি করা এবং প্রতিষ্ঠিত করা যে এই আন্দোলন আসলে নাস্তিকদের দ্বারা পরিচালিত যারা ইসলামকে ধ্বংস করতে তৎপর এবং তারা সেই একই উদ্দেশ্য নিয়ে এই আন্দোলন করছে।

জামাতের এই কূটচালের ফলশ্রুতিতে গত কয়েক ঘন্টায় নতুন ক্যাটাগরির মানুষের পরিচয় পাইলাম। যাদের মুল সূর হচ্ছে "আমিও খুনের বিপক্ষে, তবে...". আপনিও যদি সেই গোত্রের হয়ে থাকেন ধর্মের ভারে যাদের মনুষ্যত্ব চাপা পড়ে গেছে তবে ব্যক্তিগতভাবে মানুষ হিসেবে আপনাকে স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানালাম। এবং জামাত শিবিরের কূটচালে আপনি সফলভাবে ধরা খাইসেন। আপনাকে অভিন্দন। কিন্তু জেনে রাখেন, আপনার মত ধর্মান্ধ ভুদাই সব যুগেই থাকে। ৭১এও ছিলো, ২০১৩ তেও আছে। কিন্তু জয় শেষমেষ সত্য এবং মনুষ্যত্বেরই হবে। দেখতে থাকেন।

আমি ধর্মভীরু ,কিন্তু ধর্মান্ধ নই। আমি ইসলামের দোহাই দিয়া ধর্ষণ এবং হত্যা সমর্থন করিনা যা বর্তমানে জামাত শিবির করতাসে এবং ১৯৭১ সালে করেছিল, কেউ প্রমান দিতে পারবেন পবিত্র কোরআনের কোথাও ধর্ষণ এবং হত্যার সমর্থনএ কোন শব্দ লিখা আছে, কোন হাদিসে আছে? আমি জানি নাই, নাই, নাই,যদি থাইকা থাকে তাহলে তা ইসলাম ধর্মএ নাই কাফেরদের ধর্মএ থাকতে পারে ।

কিন্তু তথাকথিত কিছু মুসলমান যারা ইসলামের দোহাই দিয়া জামাতের কর্মকাণ্ড সমর্থন দিচ্ছেন এবং তারা মনে করেন নামাজ পরলে আর কোরআন পড়তে পারলে আল্লাহ ধর্ষণ এবং হত্যা আপনাদের জন্য জায়েজ কইরা দিবেন, তাদের কিছু বললে যদি ধর্মএর বিরুধে কথা বলা হয় তারা মনে রাখবেন আপনারাই পবিত্র কোরআন এবং আল্লাহর রাসুল (সাঃ) কে অবমাননা, অপমান করছেন এমনকি পবিত্র ইসলাম ধর্ম কে ধ্বংস করতাছেন। আল্লাহ আপনাদের ক্ষমা করুন।

কুকুর সে জতই প্রভু ভক্ত হওক আর পাকপবিত্র থাকুক না কেন ওর পরিচয় কুকুর, আমার কাছেও সে কুত্তা হিসাবে পরিচিত থাকবে। ইসলামের দোহাই দিয়া আপনি কুকুরকে মানুসের সঙ্গে তুলনা করতে পারেন কিন্তু আমি পারি না কারন মানুস হচ্ছে আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব। আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীবকে আমি অপমান করতে পারি না, করলে আল্লাহকে অপমান করা হয়। ১৯৭১ সালে রাজাকারের কর্মকাণ্ড পশুর (কুকুর) কর্মকাণ্ড ছিল মানুসের না।

এইগুলি বাদ দিয়া মূল উদ্দেশে অটল থাকো. রাজিব এর লেখা আমারও পছন্দ হয় নাই. ওরে আল্লাহ্‌ ক্ষমা করুক. কিন্তু তাই বইলা ওরে কুপাইয়া মারা হইসে তাতে খুশি হও কেমনে?

যাই হোক, রাজাকারের ফাঁসির আন্দোলন থামানো যাবে না আর শাহবাগও ছাড়া যাবে না. আর ছাগলের মতো জামায়েত-শিবিরের কুত্তাগুলা যা চাইতেসে ওইটাই করা যাবে না. আর রাজাকার মানে কিন্তু "সর্বদলীয় রাজাকার".

এবার বলি ব্লগার দের উদ্দেশে, মাঝে মাঝে কথা বলতে বলতে কিন্তু তোমরা মাত্রা ছাড়াইয়া যাও.সময় থাকতে ভাল হইয়া যাও আর উলটা পালটা যা কিছু লিখস সব ডিলিট করো. তোমরা আন্দোলন শুরু করস এর জন্য মন থেকে ধন্যবাদ, কিন্তু তোমাদের ছাগলামির জন্য যেন আন্দোলন বানচাল না হয়. এখন কিন্তু আন্দোলন পুরা দেশবাসীর.

দাবি একটাই, "সব রাজাকারের ফাসি চাই সে যে দলেরই হোক না কেন।" - এটা নিয়া আন্দোলন হচ্ছে। এর সাথে অন্য কিছু মেলানোর কোনো প্রয়োজন নাই। আমি BNP, আওয়ামী লীগ & জামাত-শিবির কোনটাই করি নাহ।

নূরানি চাপা সাইট চালু হয় রাজীব হত্যাকাণ্ডের পর

কালের কণ্ঠ ডেস্ক : সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবাকে নিয়ে জামায়াত-শিবির সমর্থক একদল অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। দৃশ্যত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সক্রিয় এমন একটি ওয়েবসাইটকে থাবা বাবার সাইট বলে তারা তাঁকে নাস্তিক সাব্যস্ত করার চেষ্টা করছে। রাজীব ফেসবুকেও ধর্মবিরোধী কথা লিখেছেন প্রমাণ করার জন্য ভুয়া স্ট্যাটাস তৈরি করে সেগুলোর স্ক্রিনশট এখন ছড়ানো হচ্ছে ফেসবুকে। এমনকি আনাড়ির মতো রাজীবের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের অ্যাডমিন এরিয়ার স্ক্রিনশটও একজন গতকাল রবিবার ফেসবুকে পোস্ট করেছে, যা শতভাগ ভুয়া ।

অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে অতি উৎসাহে সাইটটির লিংক শেয়ার করা হয়েছে। বিভিন্ন আইডি থেকে কালের কণ্ঠের ওয়েবসাইটের অনেক খবরের নিচেও এই লিংকটি স্পাম আকারে ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ওয়েবসাইট বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাকাস্টের ­ দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, নূরানি চাপা নামের সাইটটি প্রথম ভিজিট হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজীব হত্যাকাণ্ডের দিন এবং লিংক ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে ওই দিন মোট ভিজিটর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৭ হাজার ৭৮৩। ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে সাইটটি কেউ ভিজিট করেছেন এমন কোনো তথ্য কোয়ান্টাকাস্ট পায়নি। এ ধরনের অপপ্রচারের নিন্দা জানিয়ে পাল্টা পোস্টও দেওয়া হচ্ছে সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইট গুলোতে। শাহবাগ আন্দোলনের একজন লেখেন, 'মূলত খুনের দায়কে এড়াতে জামায়াত-শিবির মেতেছে অপপ্রচারে। ফেসবুক-ব্লগে থাবা বাবার নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। এরপর থাবা বাবাকে নাস্তিক প্রমাণ করতে ইচ্ছে মতো যা-তা লেখা হচ্ছে।' তিনি আরো লেখেন, 'রাজীব খুন হওয়ার নামে একটা পেজের আগমন ঘটে। এরপর 'নূরানি চাপা সমগ্র' নামে একগাদা লেখা পোস্ট করা হয়। যা থাবা বাবার লেখা বলে ওই সাইটে দেখানো হয়। কিন্তু থাবা বাবা খুন হওয়ার আগে এই সাইটে কোনো ভিজিটরকে সাইটটি প্রদর্শন করতে দেখা যায়নি। 'নূরানি চাপা সমগ্র' ভিজিটকারী এক ব্লগার জানান, ইন্টারনেটে নূরানি চাপার পেজটির source code ঘেঁটে দেখিএর একটি লিংক দেওয়া আছে। সাইটটি বানানোর সময় কোয়ান্টাকাস্টের ­ কোড ব্যবহার করা হয় কতজন ভিজিট করছে তা বোঝার জন্য। এতে দেখা যায়, ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে সাইটটি কেউ ভিজিট করেনি। ট্রাফিক বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাকাস্টে নূরানি চাপার লিংকটি হচ্ছে : রাজীবই নূরানি চাপা ব্লগটি চালাতেন- এ কথা প্রমাণ করার জন্য গতকাল রাজীবের ফেসবুকের অ্যাডমিন এরিয়ার একটি স্ক্রিনশট একজন শেয়ার করেন। স্ক্রিনশটে দেখানো হয়, রাজীব 'নূরানি চাপা' নামের একটি পেজ পরিচালনা করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক ব্যবহার করছেন এমন কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পেজের মালিক ছাড়া আর কারোরপক্ষে অ্যাডমিন এরিয়ার স্ক্রিনশট দেওয়া সম্ভব নয়। তাঁদের মত হচ্ছে, কেউ হয় রাজীবের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, অথবা তাঁর পাসওয়ার্ড হ্যাক করে বিভ্রান্তিকর তথ্য জুড়ে দিয়েছেন ।

সুত্র : কালেরকন্ঠ ।

Tuesday, February 12, 2013

2013 Shahbag Protest: My Quote's

  1. "সব রাজাকারের ফাসি চাই সে যে দলেরই হোক না কেন।" - এটা নিয়া আন্দোলন হচ্ছে। এর সাথে অন্য কিছু মেলানোর কোনো প্রয়োজন নাই। আমি BNP, আওয়ামী লীগ & জামাত-শিবির কোনটাই করি নাহ।
  2. বন্ধুরা সবাই প্রস্তুত থেকো। শাহবাগে কেউ আক্রমন করলেই দৌড় দিতে হবে ওদের ঠেকানোর জন্য । দাবি একটাই - "সব রাজাকারের ফাসি চাই সে যে দলেরই হোক না কেন।"
  3. জামাত-শিবিরের পোলাপানগুলা ইসলামের নামের ১২টা বজায় দিচ্ছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ওরা বোমা ফাটিয়ে শান্তি আনতে চাই জর্জ বুশের মতো করে।
  4. আমি চাকুরী করতাম যদি এক কোটি টাকা বেতন পেতাম
    তাই আমি চাকুরী করব নাহ।

    আপনি মিয়া সব চান এক সাথে। আপনার দ্বারা কিছুই হনে নাহ। :-) :-) :-) :-) :-) :-) :-) :-) :-) :-) :-) :-) :-) :-) :-) :-) :-) :-) :-) :-)

    ভাইরে চোট থেকে বড় হতে হয় ......
    যে বিষয়টা নিয়া সবাই একমত আগে সেটা তো পূরণ হোক।
  5. যখনি ধর্ম ব্যবসায়ীরা অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে, তখনি মানুষের ধর্মানুভূতিকে ব্যবহার করে প্রিয় বাংলাদেশকে দোযখে পরিণত করার হিংস্র অপচেষ্টায় মেতে ওঠে। এ কাজটি ওরা একাত্তরেও করেছে। ধর্মের নামে, ধর্মকে ব্যবহার করে এসব শয়তানেরা গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট জায়েজ করতে চেয়েছিল।কিন্তু জেগে উঠেছে জনতা। হায়েনার কুচক্র, ঘাতকের শয়তানি, দেশবিরোধীদের সব অপপ্রচার ভেসে যাবে দেশপ্রেমের জোয়ারে
  6. দেশে কত ধরনের প্রতিযোগিতা হয়, 'মামা বাড়ির আবদার' নামক কোন প্রতিযোগিতা হলে নিঃসন্দেহে এতে চ্যাম্পিয়ন হবে 'জামায়াতে ইসলামী'। এরা একাত্তরে খুন ধর্ষন করেছে সেটার বিচার করা যাবেনা, বিচার করলে তাঁরা হরতাল দেবে, রাজশাহীর এক জামায়াত নেতা বিস্ফোরক সহ গ্রেফতার হইছে তারেও ধরা যাবে না, ধরলে হরতাল, এইসব মামার বাড়ির আবদার ছাড়া আর কি...? এই দেশটাকে তারা কেবল মামা বাড়িই ভেবে গেলো, তাদের আসল বাড়ি পাকিস্থান...! (সংগৃহীত)
  7. আস্তিকতা /নাস্তিকতা নিয়ে বেহুদা তর্ক তোলাটা ছাগুদের একটা কৌশল।হত্যার বিচারের সাথে আস্তিকতা নাস্তিকতার কোন সম্পর্ক নাই।পৃথিবীর অধিকাংশ গণহত্যাকারীরা কি আস্তিক ছিলেন নাকি নাস্তিক? আমি আপাদমস্তক একজন আস্তিক মানুষ। আমি আমার ধর্মে বিশ্বাসী। নাস্তিক যদি আমার স্রষ্টাকে ও ধর্মকে গালাগাল করেন তবে আমি বুঝি সে পুরোপুরি নাস্তিক না। কারন যার অস্তিত্বে সে বিশ্বাস করে না , তাকে নিয়ে সে মন্তব্য করা মানেই স্রষ্টা আছেন বলে মেনে নেয়.. অস্তিত্ব না থাকলে সে কাকে নিয়ে মন্তব্য করে...? তাই বেহুদা প্যাঁচাল না পেড়ে আসেন সোজাসুজি বলেন, আপনি কি হত্যার, অপরাধের, অন্যায়ের বিচার চান, নাকি চান না? ~ আবদুন নূর তুষার (সংগৃহীত)

Monday, February 11, 2013

Demands of 2013 Shahbag Protest

"সব রাজাকারের ফাসি চাই সে যে দলেরই হোক না কেন।" - এটা নিয়া আন্দোলন হচ্ছে। এর সাথে অন্য কিছু মেলানোর কোনো প্রয়োজন নাই। আমি BNP, আওয়ামী লীগ & জামাত-শিবির কোনটাই করি নাহ।

Our Demands
  1. Demand capital punishment for Abdul Quader Mollah.
  2. Demand capital punishment for all war criminals.
  3. Banning Jamaat-e-Islami and its student wing Islami Chhatra Shibir, and all their financial institutions including Islami Bank, Ibn Sina, Focus and Retina coaching centers.
Please see following video to understand logic and demand behind 2013 Shahbag Protest,



Sunday, February 10, 2013

Identify enemies who are against 2013 Shahbag Protest and Death Penalty of 1971's War Criminals

Following Newspaper are against 2013 Shahbag Protest and Death Penalty of 1971's War Criminals,
  1. Amar Desh( আমারদেশ)
  2. Daily Sangram (দৈনিক সংগ্রাম) 
Following TV Channels are against 2013 Shahbag Protest and Death Penalty of 1971's War Criminals,
  1. Diganta Television 
Following Facebook Pages are against 2013 Shahbag Protest and Death Penalty of 1971's War Criminals,
  1. বাঁশেরকেল্লা (Basherkella)
  2. রহস্যময় পৃথিবী (Mysterious World)
  3. Vision 2021
  4. একা is better then ছ্যাকা
  5. আধুনিকতা আসে সততা থেকে অশ্লীলতা থেকে নয়
  6. প্যান্টের উপর আন্ডারওয়্যার পরলেই সুপারম্যান হওয়া যায় না 
  7. Freedom of Speech BD.
  8. Photonews Bangladesh-com (ফটোনিউজ)
Following Person are against 2013 Shahbag Protest,

2013 Shahbag Protest: Boycott Amar Desh Newspaper

Amar Desh( আমারদেশ) Newspaper is spreading completely different news from reality regarding 2013 Shahbag Protest. So please boycott Amar Desh( আমারদেশ) Newspaper from now. Boycott their online newspaper also, www.amardeshonline.com


Slogan of 2013 Shahbag Protest


ট্রাইবুন্যালের ছাড় নাই
কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই...
কোন আঁতাতে এমন রায়
দেশের মানুষ জানতে চায়...

বিচার চাই, বিচার চাই,
রাজাকারের ফাঁসি চাই...

ক-তে কাদের মোল্লা,
তুই রাজাকার, তুই রাজাকার...

গ-তে গোলাম আযম,
তুই রাজাকার, তুই রাজাকার...

স-তে সাঈদি,
তুই রাজাকার, তুই রাজাকার...

স-তে সাকা চৌধুরী,
তুই রাজাকার, তুই রাজাকার...

এক হও লড়াই করো,
ফাঁসির দাবী আদায় করো...

একাত্তরের বাংলায়,
রাজাকারদের ঠাঁই নাই...

2013 Shahbag Protest: তরুণেরা এই প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা: মুহাম্মদ জাফর ইকবাল

শাহবাগে আন্দোলনকারী তরুণদের এই প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অভিহিত করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েরঅধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। আজ শুক্রবার জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে ডাকা মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

জাফর ইকবাল বলেন, ৩০ লাখ মুক্তিযোদ্ধা অকাশ থেকে তোমাদের দিকে তাকিয়ে আনন্দে হাসছেন। শহীদ জননী জাহানারা ইমামও তোমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছেন। তাঁদের আত্মা আজ শান্তি পেয়েছে। কারণ, মুক্তিযুদ্ধের যে অসমাপ্ত কাজ তাঁরা রেখে গিয়েছিলেন, এই তরুণেরা সেই কাজ সমাপ্ত করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে।

তরুণদের উদ্দেশে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি শুধু জানতাম এই প্রজন্মের তরুণেরা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া ও তাতে লাইক দেওয়ার কাজটাই জানে। আজ আমার সেই ভুল ভেঙে গেছে। তাঁরা প্রয়োজনে মাঠেও নামতে পারে। যখন সারা দেশে কেউ রাজাকারের শব্দটিও মুখে আনতে পারত না, তখন হুমায়ূন আহমেদ টিয়া পাখির মুখ দিয়ে বলিয়েছিলেন “তুই রাজাকার”। সেই রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে তোমরা মাঠে নেমেছ, আন্দোলন করছ। তোমাদের এই লড়াই দেখে প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদও আকাশ থেকে হাসছেন।’

2013 Shahbag Protest: মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার-এর জ্বালাময়ী বক্তব্য

 (প্রজন্ম চত্বরের মহাসমাবেশে, তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে!!)

আজ আমি এসেছি তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইবার জন্য! আমি পত্রিকায় লিখেছি- যে এই নতুন জেনারেশন খালি ফেসবুকে লাইক দেয়, এরা আর কিছু করে না। আমি লিখেছি- এরা খালি ব্লগ করে, এরা আর কিছু করে না - এরা রাস্তায় নামে না। তোমরা আমাকে ভুল প্রমাণিত করেছো। এই দেখো এখানে ব্লগার রা আছে, এই ব্লগাররা  সারা পৃথিবীতে যেটা হয় নাই এরা সেইটা ঘটিয়ে দিয়েছে। তোমাদের কাছে ক্ষমা চাই! আমাকে ক্ষমা করেছো সবাই?

আজকের মত আনন্দের দিন আমি আমার জীবনে কোনোদিন পাই নাই!! ২০১৩ সাল ১৯৭১ হয়ে গিয়েছে!! তোমরা যারা ১৯৭১ দেখো নাই | সুযোগ পেয়েছ ২০১৩ সাল কে আবার ১৯৭১ হিসেবে দেখার জন্য।

বাংলাদেশের মত সুন্দর দেশ পৃথিবীতে নাই!  উপরে তাকাও কী সুন্দর আকাশ!!  তাকাও কত সুন্দর গাছ!! একজন আরেকজনের দিকে তাকাও কত সুন্দর মানুষ!! তোমাদের মত সুন্দর মানুষ পৃথিবীতে নাই।

আমরা অনেক সৌভাগ্যবান! যখন যেটা দরকার সেটা পেয়েছি।  ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু কে পেয়েছি।  যখন যুদ্ধের সময় হয়েছে, তাজউদ্দীন আহমেদ আমাদের যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন।  তখন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্ম হয়েছে, তারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে। এখন তোমাদের দরকার, তোমাদের জন্ম হয়েছে।

জাহানারা ইমাম এখানে আন্দোলন করেছিলেন, জাহানার ইমামের ছবি আছে।  আমি শিউর, উনি উপর থেকে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন- আর আনন্দে হাসছেন!!  ত্রিশ লক্ষ শহীদ উপরে আছে, তাঁরা আমাদের দিকে দেখছে আর বলছে- “থ্যাংক ইউ”,“থ্যাংক ইউ”- তোমাদের কে ধন্যবাদ!

একটা সময় ছিল যেখানে হানাদার বলতে হত পাকিস্তান বলা যেত না। টেলিভিশনে রাজাকার কথাটা মানুষের মুখ থেকে বলা যেত না। তখন হুমায়ুন আহমেদ টিয়া পাখির মুখ দিয়ে বলেছিল “তুই রাজাকার”!! আমি বলব, তোমরা বলবে, হুমায়ুন আহমেদ উপর থেকে দেখছে-  
হুমায়ুন আহমেদ দেখো-

কাদের মোল্লা! কাদের মোল্লা!
(জনতা- তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!)
সাঈদী! সাঈদী!
(জনতা- তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!)
সাকা চৌধুরী! সাকা চৌধুরী!
(জনতা- তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!)
কামরুজ্জামান! কামরুজ্জামান!
(জনতা- তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!)
নিজামী! নিজামী!
(জনতা- তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!)
গোলাম আযম! গোলাম আযম!
(জনতা- তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!)

বাংলাদেশে যত শহীদ হয়েছিলো তাঁরা সবাই এখন উপর থেকে তাকিয়ে আমাদের দেখছে, আর বলছে- এই বাংলাদেশ কে আর কেউ কোনোদিন পদানত করতে পারবে না!

তোমাদের কে আমি অনুরোধ করি- যখন লেখাপড়ার কথা যখন লেখা পড়া করবে। যখন গান গাওয়ার কথা তখন গান গাইবে।
যখন কবিতা লেখার কথা কবিতা লিখবে। ছবি আঁকার কথা ছবি আঁকবে।  ভাস্কর্য বসানোর কথা ভাস্কর্য বসাবে। প্রেম করার কথা প্রেম করবে। বাংলাদেশ কে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দেশে তৈরি করবে।  নোবেল প্রাইজ আনবে। যখন রাস্তার নামার দরকার পড়বে তখন রাস্তায় নামবে।

তোমাদের কাছে সারা বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। যত শহীদ আছে সবাই কৃতজ্ঞ, আমারা সবাই কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ সবাইকে।
ব্লগার দের কে আলাদা ভাবে ধন্যবাদ! তাঁরা যেটা করেছে তার কোন তুলনা নাই। সবাইকে ধন্যবাদ!!

Wednesday, February 6, 2013

Origin of 2013 Shahbag Protest

৫ ই ফেব্রুয়ারী ২০১৩, চারিদিকে থমথম অবস্থা। আগেরদিন রাতেও চলেছে শিবির এর তান্ডব। সকালে একান্ত প্রয়োজন না হলেই বের হয়নি মানুষ। বিশেষ ট্রাইবুনাল এ চলছে কাদের মোল্লার বিচার অপরদিকে জামায়াতের হুমকি কাদের মোল্লার ফাঁসী হলে গৃহযুদ্ধ শুরু করবে। সবার মনেই ভয়, কি হতে যাচ্ছে? টিভিতে টকশো গুলোতে অনেকেই চিন্তায় ব্যস্থ কোন বিশেষ বাহীনী নামবে কিনা।

বেলা বেরে চলছে আর তান্ডব ও বেরে চলছে শিবির এর। দুপুর এর পরপর রায় এল ৩৪৬ তা খুনের আসামী এবং ধর্ষণকারী কাদের মোল্লাকে দেওয়া হল যাবজ্জীবন। আর সাথে সাথে বেরে গেল জামায়াতের আস্ফালন। কাদের মোল্লা দেখালেন বিজয় সুচক, শিবির ঘোষনা করল কাদের মোল্লাসহ অন্যদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত হরতাল চলবে। আশ্চর্য হয়ে পরলাম একটি স্বাধীন দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্বাধীনার বিপক্ষ শক্তি কিভাবে ঘৃহযুদ্ধ ঘোষনার সাহস পায়। বরই হতাশা নিয়ে অফিস করছিলাম। ফেসবুকে আকটা লিঙ্ক পেলাম হঠাৎ করেই। শাহাবাগে একত্রিত হবার এর আমন্ত্রন এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে। ভাবছিলাম কিছুই হবেনা!!! তারপর অফিস শেষ করেই চলে যাই শাহাবাগ। না আমার ধারনা ভুল প্রোমানিত করে সমাবেত হয়েছে হাজার লোক। চারদিক থেকে তখনও আরো লোক শুধু আসছেই। দেখতে দেখতে চোখের সামনেই কেটেম গেল পুরা ৭ টা দিন। মানুষের চোখে এই নরকের কিট গুলোর প্রতি দেখছি ঘৃণা এর ক্ষোভ। দেখছি দেশাত্ব বোধের টানে ভেদাভেদ ভুলে মানুশের ঐক্যমত।

না আবার আশা দেখছি নতুন সোনার বাংলাদেশের। নতুন করে গর্জ্জে উঠে আবার শপথ নিলাম।

(সংগৃহীত)