Notice

YouTube.com/BESTTravelers - Visit and SUBSCRIBE to our travel related YouTube Channel named "BEST Travelers"

Monday, April 30, 2012

Scientific Benefits of Wearing Hijab

The moral duty of wearing Hijab in Islam is an often discussed topic among Muslim women. However, little has been written about scientific reasons that Hijab is beneficial for society.
 

There are, in fact, a number of health benefits that wearing Hijab provides, as well as many behavioral science studies that suggest that Hijab is the best clothes for women.




Protecting the head is very important from a health perspective. Results Of medical tests show that 40-60% of body heat is lost through the head, so persons wearing head coverings during cold months are protected about fifty-percent more than those who do not. In the traditional Islamic medical texts of Al-Jawziyya, we can find numerous references to the "four elements" of fire, water, air and earth and how these affect the body in adverse ways. In particular, we are advised to stay away from drafts and protect our heads in wind, breezes, drafts and cold weather.

Hygienic Purposes:
All public should wear Hijab or head-covering workers serving society to ensure cleanliness and purity. Workers in a number of professions wear "veils" - nurses, fast food workers, and deli Counter workers, restaurant workers and servers, doctors, health care providers and many more. Female

Psychological Balance:
Covering the hair can also have a beneficial effect on the female psyche as well. Studies of women being interviewed for jobs show that there is a high correlation between what they wear and their perceptions of how successful they will be in their interviews. There are many more examples of how what we wear can influence how we act.

Wearing a veil (Hijab, Hijab) can serve to remind women of their religious duties and behavioral expectations. It can also serve as a reminder to women that we are not only individuals, but also representatives and diplomats of our "Ummah."


[Collected]

Monday, April 23, 2012

Open letter of Tanjim Ahmed (Sohel Taj)

কাপাসিয়ার জনগণের উদ্দেশ্যে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের খোলা চিঠি অনেক কষ্ট করে গড়ে তোলা সুন্দর একটি জীবন ছিল যুক্তরাষ্ট্রে।

কৈশোর বয়স থেকে নিজে দিনরাত কাজ করে পড়াশোনার খরচ চালিয়েছি। বাবা-মায়ের দেওয়া শিক্ষা, দেশপ্রেম থেকেই দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে সবকিছু ছেড়ে দেশে ফিরে গিয়েছিলাম। প্রথমে সামাজিকভাবে কাজ শুরু করেছিলাম। আর্সেনিক নিয়ে সচেতনতার কাজও অনেক করেছি। গ্রামে-গঞ্জে ঘুরেছি দিনের পর দিন। বাবা ও মায়ের রাজনৈতিক সহকর্মীদের পরামর্শ এবং কাপাসিয়ার মানুষের অনুরোধেই আমার সক্রিয় রাজনীতিতে আসা। তাঁরা আমাকে বুঝিয়েছিলেন, রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে আরও ভালো করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করা সম্ভব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও শরীরে বয়ে চলা বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের রক্তই আমাকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করেছে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যোগ দিতে এবং দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে। ক্ষমতা, অর্থসম্পদ, খ্যাতি প্রতিপত্তির জন্য আমি রাজনীতিতে যোগ দিইনি। যদি উদ্দেশ্য তা-ই হতো, তাহলে সবকিছু মেনে নিয়ে এখনো এমপি ও মন্ত্রিত্বের পদ আঁকড়ে থাকতাম। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন আমাকে বাকি জীবন এই লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে রাখেন। নিজের দলীয় ও তত্কালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সৃষ্টি করা শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ২০০১ সালের নির্বাচনে কাপাসিয়ার মানুষের ভালোবাসায় প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলাম। দুর্ভাগ্য, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। আমার কাপাসিয়ার মানুষের ওপর বিএনপি-জামায়াত জোটের চলতে থাকে একের পর এক হামলা, মামলা ও নির্যাতন। প্রতিবাদে কাপাসিয়ার সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলি। বিএনপি-জামায়াতের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন আমার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী যুবলীগের সভাপতি জালাল উদ্দীন সরকার। পুলিশ নির্মমভাবে হত্যা করেছে জামাল ফকিরকে। এসবের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ অনশন করতে গিয়ে বারবার পুলিশের নির্মম হামলার শিকার হয়েছি। বস্তুত বিএনপি-জামায়াতের পাঁচটি বছর হামলা, মামলা ঠেকাতে আমাকে বেশির ভাগ সময় রাজপথ ও আদালত প্রাঙ্গণে সময় কাটাতে হয়েছে। কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যে নিজেকে জড়াইনি। পৈতৃক সম্পত্তি থেকে যা আয় হতো, তাই দিয়েই চলত আমার রাজনীতি। এমনকি পৈতৃক সম্পত্তিও বিক্রি করেছি রাজনীতির জন্য। খুব সাদামাটা সাধারণ জীবনযাপন করেছি। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের কর্মকাণ্ড আমাকে হতাশ করলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলের যুগোপযোগী নির্বাচনী ইশতেহার আমাকে রাজনীতিতে আরও বেশি উত্সাহিত করে। যে ইশতেহারটি ছিল প্রগতিশীল ও দিনবদলের একটি ঐতিহাসিক অঙ্গীকার। আশাবাদী হই, একটি সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির। যে সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণ পাবে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার। যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, জাতীয় চার নেতা, উদীচী ও একুশে আগস্ট হত্যাকাণ্ড, সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া ও অহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ড এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। বাংলাদেশ হবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা—সব মিলিয়ে একটি সুন্দর সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলাম। আর তাই যে মন্ত্রণালয় কেউ নিতে চায়নি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসে সেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। এই দায়িত্বটি ছিল শুধু মন্ত্রিত্ব নয়, একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব অপরিসীম। আর সুশাসন প্রতিষ্ঠার দায়িত্বের অনেকটাই ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। আমার সব সময়ই চেষ্টা ছিল পুলিশ বাহিনীকে একটি সুশৃঙ্খল পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে জনগণের বন্ধু করে তোলা। মন্ত্রিত্বের শেষ দিন পর্যন্ত আমার সেই চেষ্টা অব্যাহত ছিল। কতটুকু পেরেছি বা কেন পারিনি, সে কথায় না গিয়ে শুধু এইটুকু বলতে চাই, আমি আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি, সব সময় অনিয়ম ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। সেটা যে-ই করুক না কেন। যতটুকু সম্ভব আমি আমার সীমিত ক্ষমতার মধ্যে চেষ্টাও করেছিলাম। সেই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়াও শুরু করতে সহযোগিতা করেছিলাম। কথার পেছনে অনেক কথা থাকে। অনেক লুকায়িত সত্য থাকে। যা দেশ, জনগণ ও দলের বৃহত্তর স্বার্থে জনসম্মুখে বলা উচিত না। আর তা সম্ভবও নয়। শুধু এইটুকু বলি, আমি ‘সংগত’ কারণেই এমপি ও মন্ত্রিত্বের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। যে কয়দিন দায়িত্বে ছিলাম, মন্ত্রিত্বের শপথ থেকে বিচ্যুত হইনি। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। দুর্নীতি অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত সোচ্চার ছিলাম। যখন মনে করেছি, আমার সীমিত ক্ষমতায় জনগণের প্রতি দেওয়া কমিটমেন্ট আর রক্ষা করা সম্ভব নয়, তখন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। কারণ পদ বা ক্ষমতার লোভে আমি রাজনীতিতে আসিনি। যদি তা-ই হতো তাহলে মন্ত্রিত্বের লোভনীয় সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে প্রবাসে চাকরির জীবন বেছে নিতাম না। অর্থসম্পদ বা ক্ষমতার বিন্দুমাত্র মোহ আমার নেই। আমার কাপাসিয়াবাসীর উদ্দেশে বলতে চাই, সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত নিতে আমার অনেক চিন্তাভাবনা করতে হয়েছে। মানুষের প্রত্যাশা, ভালোবাসা, স্নেহ—আমার জন্য এলাকার মানুষের ত্যাগ স্বীকার, আবেগ এই সবকিছু চিন্তা করার পরও বাস্তবতা বিচার করে আমি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি। কাপাসিয়ার মানুষের সম্মান রক্ষার্থে আমার সামনে এ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না। কারণ কাপাসিয়ার মানুষের মর্যাদা ও সম্মান আমার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি জানি, আমার এই সিদ্ধান্তে আপনারা ক্ষুব্ধ ও অভিমানী হবেন, প্রতিবাদ করবেন। কারণ যে ভালোবাসা ও সম্মান আপনারা আমাকে দিয়েছেন, এই সম্মানের ওপর কোনো কালিমা পড়ুক, তা আমি চাই না। সংগত কারণেই সবকিছু খুলে বলতে পারছি না। এই কাপাসিয়ার মাটি ও মানুষের সঙ্গে আমার নাড়ির সম্পর্ক। এই কাপাসিয়ার মাঠে-ঘাটেই বেড়ে উঠেছেন আমার বাবা বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ। সেই মাটির গন্ধ আমার গায়েও। তাঁর আদর্শ নিয়েই আমার পথচলা। কাপাসিয়ার মানুষের জন্য অনেক কিছু করার স্বপ্ন নিয়েই আমি প্রবাস-জীবনের ইতি টেনেছিলাম। আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ভালোবাসা ও দোয়া পেয়েছি। এর প্রতিদান হয়তো ততটুকু দিতে পারিনি। তবে সেই চেষ্টা আমার সব সময় ছিল। আমি এইটুকু বলতে চাই, সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করলেও আপনাদের পাশে থাকব সব সময়। হয়তো অন্য কোনোভাবে, অন্য কোনো পথে। এই প্রতিজ্ঞা করছি। সক্রিয় রাজনীতিতে পুনরায় আসার সম্ভাবনা না থাকলেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আমার বাবা তাজউদ্দীন আহমদের আদর্শে গড়া আওয়ামী লীগই আমার শেষ ঠিকানা। কারণ এই দলটির সঙ্গে আমার বাবার রক্ত মিশে আছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে তিনি জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েছেন। কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করেননি। জীবন দিয়েও তা প্রমাণ করে গেছেন। কাপাসিয়ায় আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী যাঁরা আমার জন্য ত্যাগ স্বীকার, জেল-জুলুম ও অত্যাচার সহ্য করেছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলব, আমি সব সময় যেটা আপনাদের বলে এসেছি, তা হচ্ছে ব্যক্তি-স্বার্থকেন্দ্রিক রাজনীতি পরিহার করতে হবে। ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির রাজনীতি বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীনের মতো নীতি আদর্শের রাজনীতি করতে হবে। ঐতিহ্যবাহী কাপাসিয়ার নেতৃত্ব যেন ভালো মানুষের দ্বারা পরিচালিত হয়, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনাদের ওপর। কাপাসিয়ার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আপনারা সেই পথে এগিয়ে যান। আপনাদের সবার মতো আমিও তাকিয়ে আছি ভবিষ্যতের দিকে। হয়তো একদিন সুস্থ একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ হবে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী একটি দেশ।

এই প্রত্যাশায়

তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ)
তারিখ: ২৩ এপ্রিল ২০১২

Thursday, April 12, 2012

Why the world will not end in 2012?

২০১২ এবং ইসলাম তথা ১৪৩৩ আরো কিছু অজানা তথ্য অংশ ১ : ইসলাম যেখানে একঈশ্বর এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সত্যতাতে বিশ্বাস করতে হয় সেখানে বস্তুবাদ কিংবা ত্রিতত্ত্ববাদ (Trinity) কিংবা বহুঈশ্বরবাদ এর কোনো স্থান নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান। আমি এখানে আগে মায়ান এবং বর্তমান সম্পর্কে কিছু বলব. তা না হলে ২০১২ নিয়ে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যাবে না।

পৃথিবীতে বরফ যুগের ম্যামোথ থেকে শুরু করে ডাইনোসোর এরা প্রত্যেকেই ধ্বংস হয়েছে। পৃথিবীতে কোনো কিছুই স্থায়ী নয় এমনকি — আমরাও না . ২০১২ নিয়ে আমরা অনেকেই কমবেশ জানি। অনেকেই জানি সুপার হিট ফীল্ম 2012 এর কথা। কিন্তু এই ফীল্মও ২০১২ এর সতর্ক বাণী স্বরূপই তৈরী করা হয়েছিল যা কিনা পরে মুভী ইন্ড্রাস্ট্রিতে ফীল্ম হিসেবেই প্রকাশ পায়। 2012 এর তৈরির পিছনে মায়ান ক্যালেন্ডার এর ভূমিকা ছিল। মায়ান ক্যালেন্ডারে ২০১২ এর পর আর ২০১৩ আসে নি, তারা আবার ১, ২, ৩ এভাবে গুনে গিয়েছ। তারা ২০১২ এ বিশাল ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে যাতে কিনা সভ্যতার ধ্বংস হবে এবং নতুন সভ্যতার উত্থান হবে। অনেকেই বলেন ২০১২ তে নাকি পৃথিবী ধ্বংস হবে. এটা একটা ভুল ধারনা। ২০১২ তে যদি কিছু হয় তাহলে বড় রকমের বিপর্যয় হতে পারে (আল্লাহ ভালো জানেন) যার ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষই মারা যাবে . মায়ানরা যেটা দেখেছিল তা ছিল একটি গ্রহ। তারা দেখেছিল এই বিশাল গ্রহটি তাদেরকে আচ্ছাদিত করছে. এর তুমুল গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স এর প্রভাবে সুনামি আঘাত হানার ফলে ওদের সভ্যতা ধ্বংস হল। তাই তারা এই গ্রহটির নাম দিয়েছিল নিবিরু(Nibiru) বা ধ্বংসকারী. খুব ছোট অংকের মাধ্যমে তারা গ্রহের আসা যাওয়ার গণনা করতে পারত। ওরা এতটাই উন্নত ছিল যে ওরা জানত পৃথিবীর কক্ষপথ অনেকটা গোলাকার। তারা আরো জানত পৃথিবীর সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরে আসতে ৩৬৫ দিন লাগে যা আমরা কয়েক শতক আগেও জানতাম না। ওদের মধ্যে যে কেউ ভবিষ্যত গণনা করতে পারত। স্বল্প সংখ্যক যারা বেচেছিল তারাই তাদের ভবিষ্যত গণনা করে বলেছিল এই নিবিরু আবার ২০১২ তে আসবে যার ফলে ভয়াবহ দুরঅবস্থার দেখা দিবে। অনেকে ধারনা করেন এই আদিম মায়ানরাই হল কুরআন এ বর্নিত নুহ নবীর উম্মত যাদেরকে আল্লাহ মহাপ্লাবন দ্বারা ধ্বংস করেছিলেন। যাই হোক এ নিয়ে বলতে শুরু করলে সারা দিন লেগে যাবে. এখন আধুনিক সভ্যতার প্লানেট এক্স আবিষ্কার এবং নাসা আমেরিকা ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব. প্ল্যানেট এক্স (নিবিরু) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ১৯৮৩ এর গোড়ার দিকে সৌর সিস্টেম এর বাহির এর দিকে আবিষ্কার করে। ১৯৮৩ সালে নাসার ইরাস (IRAS-ইনফ্রা অ্যাস্ট্রোনমিকাল উপগ্রহ) সৌরজগত এর শেষ দিকে বৃহষ্পতি এর মত বড় কিছুর উপস্থিতির কথা বলে | যা ১৯৮৩ এর টাইমস পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়। https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjYc_BIsMSL9yOdUpYQ8kGME0DhTF_5CShmA7JIhk-IqfIPv6J8GFw6Matj9HLZoJHtf689LR1Hjz3PHE0KcPMZm0wWlZigghyphenhyphennqq1uK_S4wIg-xzYHHBS6VfrVBEAJraX3nTjcm1dPk0R7/s1600/Clues+Get+warm+in+the+search+of+planet+x+%2528real+photo+1+from+NY+times+30-01-1983%2529.gif সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জোসেফ ব্র্যাডি আবিষ্কার করেন কোনো অপরিচিত গ্রহ (প্ল্যানেট এক্স) হ্যালির ধুমকেতুর কক্ষপথের মহাকর্ষিক সমস্যার কারণ। জোতির্বিজ্ঞানিদের গাণিতিক হিসাব এটা প্রমান করে যে, এই অপরিচিত গ্রহের ভর পৃথিবীর ৫ গুণ বেশি। এ সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানী যেচারিয়া সিচিন (Zecharia Sitchin) এর একটি বক্তব্য না বললেই নয় ১৯৭৮ সালে তিনি বলেন, “আমাদের সৌরজগতে ৯টি গ্রহ নয় যা সর্বজন কর্তৃক গৃহীত বরং ১০ টি গ্রহ ।” এই বিশাল বস্তর কারণেই যে প্লুটো এর অরবিট পরিবর্তিত হয় এবং প্লুটো তার গ্রহের মর্যাদা হারায় পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা তা কোনো অজানা কারণে আংশিক প্রকাশ করেন। (বর্তমানে প্লুটোকে Kuiper belt এর অংশ বলা হয়) অনেকে একে বাদামী তারা বলেছেন অনেকে বলেছেন ব্যর্থ তারা। অনেকে বলেছেন ধুমকেতু। অনেকে বলেছেন ১০তম গ্রহ অনেকে ১২তম গ্রহ। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হল এর ভর বৃহষ্পতির চেয়েও বেশী। এর অরবিটও অন্য ধরনের। এর এক অরবিট সম্পন্ন হয় প্রায় তিন হাজার ছয়শ বছর এ। যদি এর আমাদের আরো তিন হাজার ছয়শ বছর আগে নুহ (আঃ) এসে থাকেন তাহলে এর পরের বার পৃথিবী ভ্রমন অতি নিকটেই। আমি আবারো বলছি যে এটি এর আগেও কখনো পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষ করে নি এই বার আসলেও করবে না। এর তুমুল গ্র্যাভিটির কারণেই পৃথিবীর নর্থ পোল আর সাউথ পোল ঘুরে যাবে ফলে সুর্য পশ্চিম দিকে উঠবে যা ইসলাম আমাদের ১৪০০ বছর আগেই বলে দিয়েছে। এর ফলে পৃথিবীর ৯০% মানুষ মারা যাবে বলে ধারণা করা হয় (আল্লাহই ভালো জানেন)। নর্থ পোল সাউথ পোল ইতিমধ্যে সরতে শুরু করেছে। ২০০৪ সালে সূর্যে বেশ কয়েকটি সৌরকলঙ্ক(Dark Spot) সৃষ্টি হয় এর ফলে যে সৌরঝড় (Sun Storm) এবং যে পরিমাণ রেডিয়েশন হয়েছিল তা আমাদের ম্যাগনেটিক পোলগুলো সহ্য করতে পারে নি। আর ঐ দিন পৃথিবীর সুমাত্রাতে ৯.২ রিকটার স্কেলের ভয়াবহ ভূমিকম্পসহ ভয়াবহ কয়েকটি ভূমিকম্প হয়েছিল, ঐ দিন ইন্দোনেশিয়াতে সুনামি হয়েছিল। এ থেকে বুঝা যায় সৌরকলঙ্কের সাথে পৃথিবীর ভূমিকম্পের সম্পর্ক রয়েছে। এই রেডিয়েশন আমাদের মাটির অভ্যন্তরের আন্দোলনকে সক্রিয় করে। আসছে ২০১২ সবচেয়ে বেশি সৌরঝড় এর বছর। এখন আমি আমেরিকার নাসার এবং ইউরোপ এর ষড়যন্ত্রের কথা বলব। প্ল্যানেট এক্স আবিষ্কার এর পর নাসা ও ইসা(ESA- European Space Agency) প্রথমে নিবিরু এর সত্যিকারের ছবি প্রকাশ করলেও তারা এখন এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। এখন গুগল স্কাই এ নিবিরু তথা প্ল্যানেট এক্স এর অবস্থান কালো অংশ দিয়ে ঢাকা। যে কেউ দেখলে বুঝবে এখানে কিছু ছিল যা তারা দেখতে দিচ্ছেনা। কেউ কি ভেবে দেখছেন ওরা কী লুকাতে চাচ্ছে ? ওরা এটা ভাবছে যে এটা জানালে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে কিন্তু ওরা না জানিয়ে আরো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এখন আমেরিকা এবং বিভিন্ন এলাকার গোপন বাজেট এর কথা বলি। আমেরিকা তাদের অনেক নিরাপদ জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড বেস (যার সংখ্যা আনুমানিক ভাবে ১৩২ এর চেয়েও বেশী) বানাচ্ছে। নিরাপদ এই কারণে বললাম কারণ এই সকল এলাকায় ভূমিকম্প বা যেকোনো দূর্যোগ মুক্ত বলে তাদের ধারনা। (কিন্তু এখন এসব এলাকাতেও ভূমিকম্প হতে পারে) যেটি একটি গোপন প্রযেক্ট। এমনকি আমেরিকান মানুষদেরও সেখানে প্রবেশাধিকার নেই। এর নাম হলো ডামবস প্রযেক্ট (D.U.M.Bs.- Deep Underground Military Bases)| এই বেস গুলোতে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুদ রাখা সহ সেখানে বৈজ্ঞানিক ভাবে মাটির নিচে খাবার উত্পাদন করার ব্যবস্থা করেছে। এটি একটি সম্মিলিত প্রযেক্ট। বিভিন্ন উন্নত দেশ এর সাথে গোপন ভাবে যুক্ত। রাশিয়া-আমেরিকা চিরন্তন শত্রু হওয়া সত্ত্বেও ওরাও এটার সদস্য। সাথে আছে ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশ। ওরাই বলেছে “আমরা আসন্ন মহাদূর্যোগ এ সবাইকে বাঁচাতে পারব না, আমরা শুধু তাদেরকেই বাঁচাব যাদেরকে আমাদের দরকার ” এমনকি SPT(south pole telescope) এর সব উপাত্ত গোপন রাখা হয়েছে. এখন আমি পবিত্র আল কুরআন এর গাণিতিক কোড টার্ম ১৪৩৩(২০১২) এর কথা বলব সাথে ইমাম মাহদি আসার কিছু হাদীস বলব। ১৪৩৩ পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোড পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোডের কথা বলতে হলে আগে আমাদের প্রাইম নাম্বার সম্পর্কে জানতে হবে। সবাই জানেন প্রাইম নাম্বার কি। তাও বলি যে সকল নাম্বার 1 এবং ঐ নাম্বার ছারা আর কোনো নাম্বার দিয়ে ভাগ যায় না তাদেরকে প্রাইম নাম্বার বলে। যেমন : ১,২,৩,৫,৭,১১,১৩,১৭,১৯,২৩… লক্ষ্য করুন এই ডিফারেন্স কিন্তু অনিয়মিত। আবার এক বিশেষ ধরনের প্রাইম নাম্বার আছে যাকে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার বলা হয়। অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার সেই সকল বিশেষ প্রাইম নাম্বার যেগুলোর সংখ্যামানের যোগফলও প্রাইম নাম্বার হয়। একটা উদাহরন দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে যেমন : ১১ একটি অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার | (১+১=২ | ২ একটি প্রাইম নাম্বার)। আল্লাহ তা আলা কুরআনেও এই সব নাম্বার ব্যবহার করেছেন। পবিত্র কুরআনের শুরুর সূরা ফাতিহাতে ৭ টি আয়াত, ২৯ টি শব্দ, ১৩৯ টি বর্ণ আছে যার সবগুলিই অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার। এমনকি এগুলোকে বাম দিক থেকে বা ডান দিক থেকে যেকোনো দিক থেকে এদের পাশাপাসি বসালে তাও অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার হয় | |||৭২৯১৩৯ বা ১৩৯২৯৭ ||| ৭+২+৯+১+৩+৯=31 ||| পবিত্র কুরআনের অসংখ্য স্থানে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার এর কথা বলা হয়েছে। এখন আমি ২০১২ তে আসি : পবিত্র কুরআনের সূরা আর-রহমান এ ৩১ বার বিভিন্ন আয়াতে “ফাবিআয়্যি আলা ইরাব্বিকু মা তুকাজ্জিবান” বলা হয়েছে। যার অর্থ “তোমরা (জ্বীন ও মানব জাতি) তোমার প্রতিপালকের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে” ১৩, ১৬, ১৮, ২১, ২৩, ২৫, ২৮, ৩০, ৩২, ৩৪, ৩৬, ৩৮, ৪০, ৪২,৪৫, ৪৭, ৪৯, ৫১, ৫৩, ৫৫, ৫৭, ৫৯, ৬১, ৬৩, ৬৫, ৬৭, ৬৯, ৭১, ৭৩, ৭৫, ৭৭ এখন এসকল আয়াতসমূহ যোগ করা হলে যা পাওয়া যায় তা হল 1433 | ১৩+ ১৬ + ১৮ + ২১ + ২৩ + ২৫ + ২৮ + ৩০ + ৩২ + ৩৪ + ৩৬ + ৩৮ + ৪০ + ৪২ + ৪৫ + ৪৭ + ৪৯ + ৫১ + ৫৩ + ৫৫ + ৫৭ +৫৯ + ৬১ + ৬৩ +৬৫ + ৬৭ + ৬৯ + ৭১ + ৭৩ + ৭৫ + ৭৭ = ১৪৩৩ এখন লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ১৪৩৩ একটি প্রাইম নাম্বার এমনকি এর যোগফলও প্রাইম নাম্বার (১+৪+৩+৩=১১) | সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সূরা আর রহমানের শব্দ সংখ্যা ৩৫৫ | এর মাধ্যমে একে বারে আগামী বছর চিহ্নিত হচ্ছে কারণ ১৪৩৩ হল লিপ ইয়ার। আর হিজরী লিপ ইয়ার হয় ৩৫৫ দিন এ। আরো আশ্চর্যের বিষয় হল পবিত্র কুরআনের ১৪৩৩ নাম্বার আয়াত বর্ণ গুনে গুনে এমনকি শব্দ গুনে গুনে দেখলেও প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আযাব এবং শাস্তির কথা লক্ষ্য করা যায়। ১৪৩৩ তম আয়াত হল পবিত্র কুরআনের সূরা ইউনুস এর ৬৯ নং আয়াত। সূরা ইউনুস (১০-৬৯)“বলে দাও, যারা এরূপ করে তারা অব্যাহতি পায় না।“ আবার বর্ণ গুনে গুনে ১৪৩৩তম হয় সূরা বাকারাঃ(২:৮৬) “এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে। অতএব এদের শাস্তি লঘু হবে না এবং এরা সাহায্যও পাবে না" আবার শব্দ গুনে গুনে ১৪৩৩ তম হয় সূরা বাকারাঃ(২:২৪) “আর যদি তা না পার-অবশ্য তা তোমরা কখনও পারবে না, তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে অবিশ্বাসীদের জন্য” এখন গোলাকার এই পৃথিবীকে ৩৬০˚ দ্রাঘিমাংশ (উল্লম্ব অর্ধবৃত্ত) এবং ১৮০˚ অক্ষাংশে (অনুভূমিক পূর্ণবৃত্ত) ভাগ করা যায়। আবারও সৃষ্টিকর্তা সূরা আর রহমানে ৩১ বার বর্নিত আয়াতের মাধ্যমে এর কথা বলছেন যার পরিসর ০˚ থেকে ৯০˚ এর মধ্যে। ১৩˚ ১৬˚ ১৮˚ ২১˚ ২৩˚ ২৫˚ ২৮˚ ৩০˚ ৩২˚ ৩৪˚ ৩৬˚ ৩৮˚ ৪০˚ ৪২˚ ৪৫˚ ৪৭˚ ৪৯˚ ৫১˚ ৫৩˚ ৫৫˚ ৫৭˚ ৫৯˚ ৬১˚ ৬৩˚ ৬৫˚ ৬৭˚ ৬৯˚ ৭১˚ ৭৩˚ ৭৫˚ ৭৭˚ এখন এই বারবার পুনরাবৃত্তি হওয়া আয়াতসমূহ দুই ধরনের অস্তিত্বশীল বস্তুর (মানুষ ও জ্বিন) কথা বলে তাই এই ল্যাটিটিউড নাম্বারগুলো যদি উত্তরাঞ্চলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় উভয় গোলার্ধের জন্য প্রয়োগ করা হয়, (১৩ নর্থ ১৩ সাউথ এভাবে পৃথিবীর মানচিত্রে বসানো হলে) তাহলে তা পবিত্র ভূমি মক্কা, জেরুজালেম, মদীনা, ছাড়া পৃথিবীর সব ঘনবসতিপূর্ণ প্রায় ৯০০০০ এলাকাকে চিহ্ণিত করে। তবে একটা জিনিস লক্ষ রাখতে হবে তা হল কুরআনুযায়ী পৃথিবীর কেন্দ্র মক্কা যা বিজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত। তাই এক্ষেত্রে আমাদের মক্কাকে কেন্দ্র ধরে হিসাব করতে হবে। হাদীসে ২০১২ এবং ঈমাম মাহদি সম্পর্কে আসি : এ বিষয়ে অনেকেই একমত যে ইমাম মাহদির জম্ম হয়ে গিয়েছে। হাদীসে ঈমাম মাহদি আসার আলামত হিসেবে পৃথিবীর চরম বিপর্যয়, দুর্ভোগ এবং মহাদুর্যোগের কথার উল্লেখ আছে। সব হাদীস না বলে আমি কয়েকটা হাদীস বলব। “পৃথিবী ততক্ষন পর্যন্ত এর পরিঃশেষ হবে না যতক্ষন পর্যন্ত না আমার পরিবার (বংশ) থেকে একজনের আবির্ভাব হবে এবং সারা পৃথিবীতে ন্যায়ের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে ” | ইমাম মাহদির আগমনের আরেকটি লক্ষন হলো দুইশিংযুক্ত একটি তারার (আপনি চাইলে একে প্লানেট এক্স বলতে পারেন) আগমন যার লম্বা লেজ থাকবে এবং সারা আকাশকে আলোকিত করবে এর কারণে উপকূলবর্তী স্থানসমূহ ডুবে যাবে। ঘনঘন ভূমিকম্প হবে। মহানবী (সঃ) আরো বলেন, “তোমরা ততক্ষন পর্যন্ত ইমাম মাহদিকে দেখতে পাবে না যতক্ষন পর্যন্ত না ১৫ রমজান শুক্রবার পৃথিবীর পূর্ব, পশ্চিম এবং অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলাতে তিনটি ভয়াবহ ভূমিধ্বস হবে যা কোনো চোখ এ পর্যন্ত দেখে নি” তারপর আয়েশা (রঃ) জিজ্ঞেস করলেন “যদিও পৃথিবীতে কিছু ভালো মানুষ থাকবে তাও কি এ ঘটবে?” মহনবী (সঃ) বললেন, “যখন খারাপের সংখ্যাই বেশি হবে এবং পৃথিবীতে অন্যায় অবিচার বেড়ে যাবে এবং বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” এই ভূমিধ্বস ঐ স্থানের সকলকে গিলে ফেলবে। এই সাইটে গিয়ে ১৫ রমজান ১৪৩৩ লিখে দেখুন তাহলে ইংরেজী সণে যে তারিখ পাওয়া যায় তা হল ৩ আগস্ট ২০১২ শুক্রবার। http://www.islamicfinder.org/dateConversion.php আল্লাহই ভালো জানেন কি হবে না হবে তবে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। ইমাম মাহদি আসার আরো লক্ষন হলো বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ দেখা দিবে এক জায়গায় বিদ্রোহ হতেই অন্য স্থানে বাতাসের গতিতে তা ছড়িয়ে পড়বে। রমজান মাসে ২ টি গ্রহন হবে যদিও এই লক্ষনটি পূর্ণ হয়ে গিয়েছে হিজরী ১৪০২ সণে। ইরাক-ইরান যুদ্ধ ইমাম মাহদি আসার লক্ষন। দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে। সোমালিয়া সহ আরো কয়েকটি দেশে ১.৫ কোটিরও অধিক মানুষ দুর্ভিক্ষ কবলিত। জেরুজালেম ইহুদিদের দখলে চলে যাবে, মানুষ মিথ্যা কথাকে সুদ গ্রহনকে সকল ধরনের গানবাজনাকে হালাল বলে মনে করবে, অযোগ্য ও অসত্ ব্যক্তিরা রাষ্ট্রপ্রধান হবে , দেশে দেশে বিদ্রোহ দেখা দিবে, সত্য বিলুপ্ত হবে, ধর্মপ্রচার করা কঠিন হয়ে যাবে, ধর্মের কথা বললে মানুষ খারাপ বলে মনে করবে, দিন খুব দ্রুত যাবে বলে মনে হবে এগুলি সবই হলো ইমাম মাহদি আসার লক্ষন। এছাড়া আরো অনেক লক্ষন আছে যা বর্তমান যুগের সাথে মিলে। সিরিয়া, ইয়েমেনে যা হচ্ছে তাও ইমাম মাহদির আগমনের আলামত। হাদিসে বলা হয়েছে দাজ্জাল শাসন করবে ৪০ দিন. ১ম দিন ১ বছরের মত, ২য় দিন ১ মাসের মত আর ৩য় দিন ১ সপ্তাহের মত এবং বাকী ৩৭ দিন আমাদের স্বভাবিক দিনের মত. এখন সুরা হজ্জ এর ৪৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে- “ তোমার প্রতিপালকের ১ দিন তোমার ১ হাজার বছরের সমান |” ১ দিন = ১০০০/১বত্সর = ১০০০ বত্সর ১ দিন = ১০০০/১২মাস = ৮৩.৩৩ বত্সর ১ দিন = ১০০০/৫২সপ্তাহ = ১৯.২৩ বত্সর এই হিসাব অনুযায়ী দাজ্জাল (AntiChrist) তার গোপন এবং প্রতারণাপূর্ণ সংগঠন শুরু করেছে তার অনুসারী ইহুদীদের মাধ্যমে বৃটেনে প্রায় ৯০০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত. যা হল ১০০০ বছর. এইরুপে দাজ্জাল তার ১ম দিন শেষ করল. দাজ্জাল এভাবে ২য় দিনে এবং ১৯১৭ সালে অ্যামেরিকার কাছে এই সংগঠনের ক্ষমতা হস্তান্তর করল এবং সকল ধরনের কার্যক্রম চালু রাখল . ২০০১ সালের ৯/১১ পর্যন্ত যা ৮৩.৩৩ বছর. এভাবে দাজ্জাল তার ২য় দিন শেষ করল এবং তার ক্ষমতা ঈসরাইলের কাছে হস্তান্তর করল. সেই অনুযায়ী এখন চলছে দাজ্জালের ৩য় দিন যা শেষ হবে (২০০১+১৯)= ২০২০ সালে. এরপর আসবে সত্যিকার দাজ্জাল শারীরিক ভাবে যা আমাদের ৩৭ দিনের মত. আরেক হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসন করবেন ৭ বত্সর. মহানবী (সঃ) বলেছেন, “বিশাল যুদ্ধ এবং ইস্তাম্বুল জয় এর মধ্যে ৬ বছর পূর্ণ হবে এবং দাজ্জাল এর আগমন ঘটবে সপ্তম বছরে. অপর হাদিসে বলা হয়েছে ইমাম মাহদি শাসনের ৭ম বছরে দাজ্জালের আগমন হবে. সুতরাং ২০২০-৭=২০১৩. সেই অনুযায়ী ইমাম মাহদির আগমন ২০১৩ এ ঘটতে পারে. আল্লাহই ভালো জানেন. আর ইমাম মাহদির আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে মারাত্নক দুর্যোগ হবে তা ২০১২. আল্লাহই ভালো জানেন. মহানবী (সঃ) বলেছেন, “সারা পৃথিবী ধোয়া দিয়ে আচ্ছন্ন না হওয়া পর্যন্ত সেই দিন (ইমাম মাহদির আগমনের দিন) আসবে না ” ডিসকোভা অ্যাপোকিলিপ্ন্য ডিসকোভারির অ্যাপোকিলিপ্স আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের বেশ কয়েকটি ডকুমেন্ট রয়েছে এ সম্বন্ধে . তাদের মতে লা পামার (La Palma) এই কুমব্রেভিয়েহা অথবা আমেরিকার ইয়েলোস্টোনের অগ্নুত্পাত হলে সারা আমেরিকা নিশ্চিহ্ন হবে এবং এর ফলে সারা পৃথিবী ধোঁয়ায় ঢেকে যাবে. এমনকি মাসখানেক সূর্যও চোখে পড়বে না. পাঠক চিন্তা করবেন না আরো কয়েকটা কথা বলে ইনশাল্লাহ শেষ করে ফেলব। ইসা (আঃ) তথা যিশু (Jesus) এর পুনঃআগমন এতে আমাদের প্রত্যেকেরই বিশ্বাস করতে হয়। শুধু আমি একটাই হাদীস বলব সেটা হলো – ইসা (আঃ) (Jesus Christ) দাজ্জালকে (AntiChrist) ২টি তীর দিয়ে মারবেন গেইট অব লুত এ যা ইসরাইল এ অবস্থিত। আমাদের সমাজে এখন পারমানবিক বোমা থেকে শুরু করে কত ধরনের রাইফেল আছে তা সত্ত্বেও এই শক্তিশালি দাজ্জালকে (এন্টিখ্রিস্ট) কেন ২টি তীর দিয়েই মারা হবে ? এ থেকে বুঝা যায় আমাদের এই চরম উন্নত সভ্যতা আর থাকবে না, মানবের এই উন্নত সভ্যতার পতন ঘটবে এবং কুব কম সংখ্যকই টিকে থাকবে (আল্লাহই ভালো জানেন)। এখনই সময় জীবনকে সুন্দর করে তোলার নতুবা এমন এক সময় আসবে যখন চাইলেও আর পারবেন না। আমি কয়েকটা জিনিস স্পষ্ট করতে চাই ১. আমি কিন্তু ১০০ ভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি না আগামী বছরই হবে, সর্বশক্তিমান আল্লাহই ভালো জানেন। নিশ্চই তিনি মহাজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ। ২. আমরা কেউ কখনও এ কখনও এ কথা বলতে পারি না যে কেয়ামত অনেক দুরে কারন তা কুরআন বিরোধী। কেয়ামত সম্পর্কিত জ্ঞান আল্লাহর ছাড়া আর কারো নেই। কেয়ামত অনেক দুরে এই কথা বলা উচিত না কারন আল্লাহই কুরআনে উল্লেখ করেছেন যে, “কেয়ামত সন্নিকটে” (সূরা ক্বামার) আল্লাহর অযাব সম্পর্কে এভাবেই সূরা মুলকের ১৬ থেকে ১৮ আয়াতে বলা হয়েছে- তোমরা কি নিশ্চিত যে, আকাশে যিনি আছেন তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দেবেন না, অতঃপর তা কাঁপতে থাকবে না। তোমরা কি নিশ্চিন্ত যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন না, অতঃপর তোমরা জানতে পারবে কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী। তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কত কঠোর হয়েছিল আমার অস্বীকৃতি। ৩. আর আবারও বলছি কেউ এটা কখনই ১০০% বিশ্বাস করবেন না. বিশ্বাস করবেন না যে এটা আগামি বছরই হবে. হ্যা তবে এটা হবেই ২০১২ তে না হলেও এসব ঘটার সময় সন্নিকটে. আর বারবার বলছি পৃথিবী ধ্বংস হবে না বড় দুর্যোগ হতে পারে (আল্লাহই ভালো জানেন) . ৪. আর কখনই বলবেন না কেয়ামত অনেক দুরে কারন মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “আমার জন্ম আর কেয়ামত হাতের মধ্যমা আর তর্জনি এই দুই আঙ্গুলের ব্যবধানের সমান।” তাই আমাদের আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত নতুবা পরে নিজেই পস্তাবেন। ৫. মহানবী (সঃ) বলেছেন – “ শেষ যুগে আমার কিছু উম্মত মদ, ব্যভিচার, ঘুষ, সুদ, মিথ্যা কথা বলা এগুলিকে হালাল বলে মনে করবে ” এখনকার যুগে এর প্রত্যেকটি হচ্ছে। আর আমরা হলাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত মানে আমরা শেষ যুগের মানুষ আমরা এটা কিভাবে ভুলে যাই ??? কেয়ামতের আলামত হল .মানুষ ঘরে বসেই দূরের খবর জানতে পারবে ।উচু ইমারত নির্মান করা হবে । মেয়েরা বেপর্দার সাথে ঘুরে বেড়াবে । সন্তান বাবা মায়ের অবাধ্য হবে । জিনা ব্যাভিচার বেড়ে যাবে । বর্তমানে এগুলো ব্যাপক হারে ঘটে যাচ্ছে । সুতরাং কেয়ামত সন্নিকটে । তাই আসুন আগে থেকেই সতর্ক হই । আল্লাহ ও রাসুলের (সাঃ) আনুগত্য করি । ৬. আবারও বলছি আমি আপনাকে ভয় দেখাচ্ছি না. এটা জেনে আপনি যদি নিজেকে সংশোধন করেন তাহলেই আমার সাফল্য. আমি এবং আমরা বন্ধু ইমাম মাহদির সাথে ১৪৩৩ তথা ২০১২ এর সম্পর্ক এই নিয়ে রিসার্চ করে নিজেদের পাল্টিয়েছি. এবার আপনার বদলানোর পালা নতুবা পরে অনেক দেরি হয়ে যাবে. Video Footage of Tsunami :: http://www.youtube.com/watch?v=NW7vENdDu1o&feature=related —